ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, পাকিস্তান খেলবে কি খেলবে না – স্বভাবতই একটা শঙ্কা থাকে। কারণ, দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরীতা। তবে, ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে আপাতত সেই শঙ্কা কেটে গেছে। ভিসা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ভারত।
সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। বিশ্বকাপ নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্বান্ত নিতে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলো বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। কাউন্সিলদের নিয়ে ঐ বৈঠকে চূড়ান্ত করা হয়েছে বিশ্বকাপের ভেন্যু এবং সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে পাকিন্তানের বিষয়ে।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমস্যর কারণে প্রায় এক দশক ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে না ভারত ও পাকিস্তান। তাই ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশ গ্রহণ নিয়ে তৈরি হয়েছিলো অনিশ্চয়তা। তবে বৈঠক শেষে সেই শঙ্কা কেটে গেছে। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ভিসা দেওয়া হবে।
ক্রিকেটারদের ভিসা চূড়ান্ত হলেও পাকিস্তানের দর্শকরা খেলা দেখতে ভারতে যেতে পারবে কিনা এই বিষয়ে এখনো সিদ্বান্ত নেওয়া হয়নি। বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু দিন।
সর্বশেষ ২০১২ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ভারত সফরে গিয়েছিলো পাকিস্তান। এরপর বিশ্বকাপ খেলার জন্য পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা এক বার ভারতে গেলেও সেই সময়ও ভিসা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিলো।
বিসিসিআইয়ের কাউন্সিলরদের নিয়ে করা ঐ বৈঠকে চূড়ান্ত করা হয়েছে বিশ্বকাপের ভেন্যুও। বিশ্বকাপের জন্য নয়টি ভেন্যু চূড়ান্ত করে ভেন্যু গুলোর কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে আগে থেকেই ভেন্যু গুলো ঠিক করে রাখার জন্য।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজকও ছিল ভারত। ঐ বিশ্বকাপে মোট পাঁচটি ভেন্যুতে খেলা হয়েছিলো। এবার ঐ পাঁচ ভেন্যুর সাথে যোগ হয়েছে আরো চার ভেন্যু। বিশ্বকাপের জন্য নির্ধারণ করা নয়টি ভেন্যু হলো মুম্বাই, কলকাতা, লক্ষ্মৌ, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, ধর্মশালা ও হায়দ্রাবাদ। বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
তবে সব কিছু চূড়ান্ত হলেও ভারতে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে এখনো শঙ্কা কাটেনি। সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ধাপ। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা সহ উপমহাদেশের দেশ গুলোতে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক। ভারতেও প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে এক লাখেরও বেশি মানুষ।
ভারতে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়াতে সঠিক সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে তাই তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা। কিন্তু করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলেও যথা সময়েই শুরু হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়াম লিগের (আইপিএল) ১৪ তম আসর।