প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট প্রধান নির্বাচক

লাল দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান ছাড়াও প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে রান পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। নান্নু জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে প্রস্তুতি ম্যাচটা দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে নিজেদের ভিতর ভাগ হয়ে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। দুই দিনের এই প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে দাপট দেখিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। ব্যাটসম্যানদের দাপুটে পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।

লাল দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান ছাড়াও প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে রান পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। নান্নু জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে প্রস্তুতি ম্যাচটা দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।

তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য। শ্রীলঙ্কায় এসে প্রস্তুতির সুবিধা পুরোটা কাজে লাগাতে পেরেছি। খেলোয়াড়রা দুই দিন অনুশীলনের পর ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুযোগ পেয়েছে, এটা আমাদের জন্য যথেষ্ট উপকৃত হয়েছে। আবহাওয়া, আর্দ্রতা, উইকেট সব কিছুর সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

নান্নু আরো বলেন, ‘প্রথম ঘণ্টায় ব্যাটিং করা অনেক কঠিন ছিল। আমাদের ওপেনার তামিম সাইফরা দারুণ ব্যাটিং করেছে। তারপর শান্ত মুশফিকও ভালো করেছে। বোলাররাও প্রাণপণে চেষ্টা করেছে লাইন ও লেন্থ ঠিক রাখার জন্য। আমার বিশ্বাস, এই প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে যথেষ্ট ভালো ফিডব্যাক আমরা পেয়েছি।’

তবে ব্যাটসম্যানরা ভালো করলেও বোলাররা প্রথম দিনে বিবর্ণ ছিলেন। দিনের প্রথম দুই সেশনে কোন উইকেট তুলে নিতে পারেননি তাঁরা। তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান অন্য দের সুযোগ করে দিতে বিশ্রাম নিয়েছেন। তবে নান্নু আশাবাদী বোলাররা কন্ডিশনের সাথে দ্রুত অভ্যাস্ত হয়ে যাবে এবং যেটা টেস্ট ম্যাচে কাজে লাগবে।

তিনি বলেন, ‘এখানে অনুশীলন ম্যাচে বোলারদের জন্য খুব কঠিন একটা সেশন গিয়েছে। যে উইকেট ও কন্ডিশন, বাউন্স যথেষ্ট ভালো, যেহেতু এটা অনেকটা ফ্ল্যাট ট্র্যাকের মত। হয়তো টেস্টেও এরকম কন্ডিশন হতে পারে, এই গরমের মধ্যে ভালো জায়গায় বল করা, মনোযোগ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় আগামী দিন আরও একটা দিন বাকি আছে ম্যাচ অনুশীলনে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য। আমার বিশ্বাস যে আমাদের বোলাররা খুব তাড়াতাড়ি অভ্যস্ত হতে পারবে, টেস্ট ক্রিকেটের আগে প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট কাজে লাগবে।’

প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর আবার দুই দিন অনুশীলন করার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। অনুশীলন শেষে ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট এবং ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। দুটি টেস্টই অনুষ্ঠিত হবে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...