ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ মাঠে গড়ানোর কথা ছিলো আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে। কিন্তু আজ বাংলদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন আপাতত দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রধান এই আসর মাঠে গড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই।
মূলত দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়াতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর আগে করোনার কারণে গত বছরের মার্চে মাত্র এক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার পর স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছিলো ডিপিএল। এরপর আর মাঠে গড়ায়নি সেই আসর।
করোনার প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়াতে কিছু দিন আগে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) ক্লাব গুলোর সঙ্গে বৈঠকে শেষে ৬ মে থেকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ডিপিএল আয়োজনের চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নিয়েছিলো। কিন্তু এরপরই শুরু দেশে করোনার দ্বিতীয় ধাপ।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকে নিতে এসে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন এখন খেলা কোন ভাবেই উচিত হবে না।
এ প্রসঙ্গে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এখন যে পরিস্থিতি আছে, সেই পরিস্থিতিতে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করাটা খুব কঠিন। এখন দেশে যে পরিস্থিতি তাতে আমি মনে করি খেলা কোন ভাবেই উচিত হবে না।’
তবে করোনা প্রকোপের ভিতরই গত বছর জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবল নিশ্চিত করে বিসিবি আয়োজন করেছিলো প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। পাপন জানিয়েছেন যদি ক্রিকেটার, কোচ, কর্মকর্তা সবাই মিলে জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবল নিশ্চিত করতে পারে তবেই খেলা মাঠে গড়ানো সম্ভব। কিন্তু বিসিবি সভাপতি তাতেও খুব আশাবাদী হতে পারছেন না।
তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করতে না পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত খেলাটা মাঠে গড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। সেটা একটা দিন হোক আর দশটা দিন হোক। যদিও বিসিবি চেষ্টা করে যাচ্ছে। ওরা যদি আমাকে মানাতে পারে যে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ওরা খেলাটা চালাতে পারবে তাহলে আমরা খেলব। আমার কাছে মনে হচ্ছে সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।’
এর আগে গত মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিলো জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২২তম আসর। কিন্তু এনসিএল চলাকালীন ৯ জন ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হলে বাধ্য হয়েই এনসিএল স্থগিত ঘোষণা করে বিসিবি। স্থগিত হওয়ার আগে এনসিএলের দুই রাউন্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।