টুর্নামেন্টে আগের পাঁচ ম্যাচে মাত্র দুই জয় পেয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। যার ভিতর সর্বশেষ দুই ম্যাচে তো বড় ব্যবধানেই হেরেছিল তারা। তাই আজ জয়ে ফিরতে মরিয়া ছিল রোহিত শর্মার দল। আর দলীয় পারফরম্যান্সে ভর করে কাঙ্খিত সেই জয়ই পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
নিজেদের ষষ্ট ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে সাত উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আর পরাজয়ের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া রাজস্থান রয়্যালস এই ম্যাচে হেরে প্লে অফের দৌড় থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেলো।
কুইন্টন ডি ককের দায়িত্বশীল ইনিংসে জয়টা সহজে আসলেও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের লক্ষ খুব একটা ছোট ছিল না। প্রথমে ব্যাট করে ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৪৯ রান তোলেন মু্ম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও রোহিত শর্মা।
পাওয়ার প্লের শেষ বলে ১৭ বলে ১৪ রান করে রোহিত ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। এরপর সূর্যকুমার যাদব দ্রুত ফিরে গেলেও জয় পেতে সমস্য হয়নি মুম্বাইয়ের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ক্রুনাল পান্ডিয়াকে নিয়ে ৬৩ রান যোগ করে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন ডি কক।
ক্রুনাল পান্ডিয়া মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে ফিরে গেলেও দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন ডি কক। পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৩৯ রান এবং ৫০ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন ডি কক। এছাড়া কাইরন পোলার্ডের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
রাজস্থান রয়্যালসের বোলারদের পক্ষে সফল ছিলেন ক্রিস মরিস। এই পেসার ৩৩ রান দিয়ে শিকার করেন দুটি উইকেট। এছাড়া বাকি একটি উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা রাজস্থান রয়্যালসকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার জস বাটলার ও যশস্বী জ্যাসওয়াল। উদ্বোধনী জুটিতেই দুজন যোগ করেন ৬৬ রান। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই।
দারুণ খেলতে থাকা দুই ব্যাটসম্যানকে জোড়া আঘাতে ফিরিয়ে দেন রাহুল চাহার। ৩২ বলে ৪১ রান করে আউট হয়ে যান বাটলার। আর জ্যাসওয়ালের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৩২ রান। তবে দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পরেও রাজস্থানের রানের গতিতে ভাটা পড়েনি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৭ রান যোগ করেন সাঞ্জু স্যামসন ও শিভাব দুবে। তবে ভালো শুরু করে এই দুজনও শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি। ২৭ বলে ৪২ রান করে স্যামসন ফিরে যাওয়ার পর ৩১ বলে ৩৫ রান করে ফিরে যান দুবে। এর পর শেষের দিকে মিলারের ৭ রান ও পরাগের ৮ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে রাজস্থান।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলারদের ভিতর সবচেয়ে সফল ছিলেন জসপ্রিত বুমরাহ। এই পেসার ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে শিকার করেন এক উইকেট। এছাড়া ট্রেন্ট বোল্ট এক উইকেট ও রাহুল চাহার শিকার করেন দুই উইকেট।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজস্থান রয়্যালস: ১৭১/২০ (ওভার: ২০; বাটলার- ৪১, জ্যাসওয়াল- ৩২, স্যামসন- ৪২, দুবে- ৩৫, মিলার- ৭*, পরাগ- ৮*; বুমরাহ- ৪-০-১৫-১, বোল্ট- ৪-০-৩৭-১, চাহার- ৪-০-৩৩-২)
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ১৭২/৩ (ওভার: ১৮.৩; রোহিত- ১৪, ডি কক- ৭০*, যাদব- ১৬, পান্ডিয়া- ৩৯, পোলার্ড- ১৬*; মরিস- ৪-০-৩৩-২, মুস্তাফিজুর- ৩.৩-০-৩৭-১)
ফলাফল: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৭ উইকেটে জয়ী।