চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে শ্রীলঙ্কা। এই সিরিজের জন্য দুই দিন আগে ঘোষণা করা ২৩ সদস্যের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন ইমরুল কায়েস। দুই বছর পর দলে ফিরে এই ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন এখন থেকে নতুন চিন্তা ভাবনা করে নিজকে প্রস্তুত করবেন তিনি।
ইমরুল কায়েস সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৮ সালে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওয়ানডেতে সর্বশেষ দশ ইনিংসে ইমরুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৪১৫ রান। যার ভিতর দুটি হাফ সেঞ্চুরি সাথে রয়েছে দুটি সেঞ্চুরি। এরপরেও উপেক্ষিত ছিলেন তিনি। তাই আবার সুযোগ দেওয়ার জন্য নির্বাচকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইমরুল কায়েস।
তিনি বলেন, ‘আমি বলবো যে এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ আবার নতুন করে চিন্তা ভাবনা করার। আর আমি নিজেকে ওভাবে প্রস্তুত করতে পারবো। আমার যে ঘাটতি গুলো ছিল এখন আমি এগুলো নিয়ে কাজ করতে পারবো। আমার মনে হয় যে এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ আবারও জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাই নির্বাচকদের যে আমি আবার প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছি। এটা আমার জন্য অবশ্যই অনুপ্রেরণার। কারণ জাতীয় দলের বাইরে থাকলে, স্কোয়াডের বাইরে থাকলে আসলে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকা যায় না জাতীয় দলে খেলার জন্য।’
গত এক যুগে তামিম ইকবাল নিজকে প্রতিষ্ঠিত করে নিয়ে গিয়েছেন অন্য উচ্চতায়। তামিমের একজন যোগ্য সঙ্গী হিসাবে ভাবা হতো ইমরুল কায়েসকে। কিন্তু কখনোই দলে নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। প্রায় দেড় যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইমরুল কায়েস খেলেছেন মাত্র ৭৮ ওয়ানডে, ৩৯ টেস্ট ও ১৪ টি টি-টোয়েন্টি।
দল থেকে বার বার বাদ পড়লেও কখনো হতাশ হননি ইমরুল কায়েস। আবার দলে ফিরে এই ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন দলে ফিরতে যা যা করার প্রয়োজন ছিল সবই করেছেন তিনি। তার বিশ্বাস ছিলো পারফরম্যান্স করতে পারলে আবার ডাক পাবেন তিনি।
ইমরুল বলেন, ‘আর আমি আসলে কখনো ঐ ভাবে মনে করি নাই যে আমি জাতীয় দলের বাইরে চলে গেছি। সব সময়ই আমি ড্রেসিংরুম উপভোগ করি, এটার জন্য যে অনুশীলন করা দরকার, কঠোর পরিশ্রমটা দরকার সেটা করে যাই সব সময়। আমি কখনো ভাবিনা জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লে আমি বের হয়ে গেছি। আমি মনে করি পাশেই আছি, পারফর্ম করতে পারলে আবার কামব্যাক করবো।’