করোনা ভাইরাসের মহামারীর জন্য মাঝপথেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে আইপিএলের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই ঘোষণা আসে।
এর আগে সকালে সহ-সভাপতি রাজিব শুক্লার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআইও একই খবর জানিয়েছিল। পরে তাঁদের দেওয়া খবরই সত্য হল। এছাড়া ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোকেও খবরটি নিশ্চিত করেছেন আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল।
আইপিএলের দেওয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল ও বিসিসিআইয়ের মধ্যে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই মুহূর্তে চলতি বছরের আইপিএলের সকল কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
আইপিএল স্থগিত করার কারণ ব্যাখ্যা করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বিসিসিআই আইপিএলে অংশ নেওয়া খেলোয়াড় সাপোর্টিং স্টাফ কিংবা অন্য যে কারো স্বাস্থ্যসুরক্ষার ইস্যুতে কোনো রকম ছাড় দিতে চায় না। সবার স্বাস্থ্যগত বিষয় মাথায় রেখেই আইপিএলে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন খুব কঠিন সময়, বিশেষ করে ভারতে। তাই বিসিসিআই চেয়েছিল ক্রিকেটের মাধ্যমে সবার মুখে একটু হলেও হাসি ফোটাতে। এটা ইতিবাচক একটা প্রচেষ্টা ছিল। তাই, আইপিএল স্থগিত করাটা সবার জন্যই দু:খজনক ব্যাপার।’
বিসিসিআই নিজ উদ্যোগে বিদেশি খেলোয়াড়দের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘সবাই যাতে নিরাপতে বাড়ি ফিরতে পারে সে জন্য বিসিসিসিআইয়ের ক্ষমতায় যা যা আছে – তার সবটাই করা হবে।’
তবে, জানা গেছে আপাতত সপ্তাহ দুয়েকের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হচ্ছে। আর এই টুর্নামেন্টটিকে মুম্বাই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অবস্থার উন্নতি হলে আবারো দ্রুতই টি-টোয়েন্টি এই আসর চালু করা হবে।
একদিন আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের একাধিক সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জৈব বলয়ে থাকা অবস্থাতেই তারা স্ক্যান করাতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। গতকাল রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে তাঁদের ম্যাচও বাতিল হয়েছে।
অন্যদিকে চেন্নাই সুপার কিংস দলের বোলিং কোচ লক্ষ্মীপতি বালাজি সহ দু’জন করোনার শিকার হয়েছে। এই অবস্থায় দলের প্রধান নির্বাহী কে. বিশ্বনাথ জানিয়েছেন পাঁচ মে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচটা আপাতত স্থগিত করার খবরও জানিয়েছিলেন।
এরপরই খবর আসে যে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহাও সংক্রমিত হয়েছেন। এতগুলো সংক্রমনের পর থেকেই আসর স্থগিত করে দেওয়াটা সময়ের অপেক্ষা ছিল মাত্র। নিরুপায় বিসিসিআইও সেটাই করলো।