Social Media

Light
Dark

ক্রিকেট না বক্সিং! কথার লড়াই গড়িয়েছে পেশির লড়াইয়ে

কথায় কথায় শুরু হওয়া লড়াই রূপ নেয় মারামারিতে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই খেলোয়াড়।

এমসিসি উইকডেজ ব্যাসের উনিশতম আসরের পর্দা উঠেছে। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালেরই এক ভিডিও  অন্তর্জালে ফেলেছে হইচই। তবে তা কোন চমকপ্রদ পারফরমেন্সের নয়। বরং অপ্রত্যাশিত এক দ্বন্দ্বের ভিডিওতে দেখা যায় দুই পক্ষের খেলোয়াড়দের।

এমসিসি উইকডেজ ব্যাস ফাইনালে লড়ছিল রাবডান ক্রিকেট ক্লাব ও এ্যারোভিসা ক্রিকেট। সেখানে এ্যারোভিসা ক্রিকেট দলের বোলার নাসির আলি উইকেট তুলে নেন কাশিফ মোহাম্মদের।  এমন সময়ে ঘটে এক অপ্রীতিকর ঘটনা।

বোলার নাসির উইকেট উদযাপনের মাত্রা ছাড়িয়ে যান।  উত্তেজনার বশে কাশিফকে বেশ কিছু কটূক্তি করে বসেন। প্রথম দিকে কাশিফ চেষ্টা করেন ঘটনা এড়িয়ে যাবার। তবে বারবার বলা শব্দে এক সময়ে ফিরে তাকান কাশিফ। শুনিয়ে বসেন দু’কথা।

কথায় কথায় শুরু হওয়া লড়াই রূপ নেয় মারামারিতে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই খেলোয়াড়। আম্পায়ারও তা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। এ সময়ে কাশিফের ব্যাটিং সঙ্গী এবং আলির দল আসে ঘটনা সামাল দিতে। ঘটনার তীব্রতায় ব্যাট ফেলে দেন কাশিফ। ঠিক এরপর সেই ব্যাট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে মারার চেষ্টা করেন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। দুই দলের খেলোয়াড়রা তড়িঘড়ি মাঠে ঢুকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালান।

আইসিসি কোড অব কন্ডাক্ট-এর ২.১২ আর্টিকেল অনুসারে কোনো রকমের অপ্রীতিকর সংঘর্ষ ক্রিকেটে নিষিদ্ধ। সেক্ষেত্রে  কোন নির্দিষ্টতা নেই। ইচ্ছে করে বা ভুল করে হোক, খেলোয়াড় বা আম্পায়ারের কাঁধে ধাক্কার মতো বিষয়ও এই ধারার মধ্যে পড়ে।

সেখানে আরও উল্লেখ আছে যে, এখানে কিছু বিশেষ ঘটনা বিবেচনায় নেয়া হবে। যেমন ঘটনার প্রসঙ্গ, ইচ্ছাকৃত না ভুলে বা তা এড়ানো যেত কিনা। এছাড়াও ঘটনা কতটুকু বিপজ্জনক ইনজুরি ঘটাতে পারে কিনা বা কার সাথে ঘটেছে এগুলোও বিবেচনায় নেয়া হবে।

ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেট। স্লেডজিং হয় হরহামেশাই। কিন্তু রাগের মাথায় প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের গায়ে হাত তোলা মোটেও সমীচীন নয়। এক্ষেত্রে যেমন আইসিসির আইন আরোপিত হয়, তেমনি বিনষ্ট হয় ক্রিকেটের সৌন্দর্য।

Share via
Copy link