Social Media

Light
Dark

টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত?

কানপুরে ভারতের টর্নেডো অবশ্য সহসা থামেনি, দ্রুততম দলীয় ১৫০ রানের পর দ্রুততম দলীয় ডাবল হান্ড্রেডের কীর্তিও নিজেদের করে নিয়েছে। এভাবে ছুটতে থাকলে রেকর্ড বইয়ের আরও অনেক অধ্যায় নতুন করে লিখতে হবে।

কানপুর টেস্টের দুইদিন একটা বলও মাঠে গড়ায়নি, প্রথম দিন খেলা হয়েছিল মোটে ৩৫ ওভার। তাই তো ম্যাচে জয়-পরাজয়ের দেখা মিলবে এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়ে। দুই দিনের মধ্যে ফলাফল পাওয়ার জন্য ব্যতিক্রমী কিছু ঘটার প্রয়োজন ছিল। আর সেটাই করেছে ভারত, খুনে ব্যাটিংয়ের স্ট্র্যাটেজি বেছে নিয়েছে তাঁরা।

প্রথম ওভারেই টোন ঠিক করে দিয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল, হাসান মাহমুদকে টানা তিন বলে তিন চার হাঁকিয়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন। রোহিত শর্মা তো রানের খাতাই খুলেছেন প্রথম বলে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা হাঁকিয়ে – দু’জনের তাণ্ডবে স্রেফ তিন ওভারেই দলীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় টিম ইন্ডিয়ার।

টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে দ্রুত স্কোরবোর্ডে ৫০ রান জমা করতে পারেনি আর কোন দল। শুধু তাই নয়, রোহিতের বিদায়ের পর জয়সওয়াল একাই শাসন করেছেন টাইগার বোলারদের। তাতেই স্রেফ ১০.১ ওভারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলে ভারত – বনেদি ফরম্যাটে এটিই যেকোনো দলের দ্রুততম দলীয় শতকের রেকর্ড।

এর আগের কীর্তিও অবশ্য রোহিতদেরই, গত বছর পোর্ট অব স্পেনে ১২.২ ওভারে ১০০ রান তুলেছিল তাঁরা। সেদিনও আগ্রাসনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। এই তালিকার তিন নম্বরে আছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০১ সালে ১৩.২ ওভারে তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করেছিল তাঁরা। ১৩.৩ ওভার লেগেছিল ইংল্যান্ডের, ১৯৯৪ সালে প্রোটিয়াদের তুলো-ধুনো করে এমন কীর্তি গড়েছিল ইংলিশ বাহিনী।

পরের অবস্থানটা দখলে রেখেছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি মেজাজে তুলো-ধুনো করেছিলেন তামিম ইকবাল-নাফিস জুটি। ১৩.৪ ওভারেই স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল শতরান।

কানপুরে ভারতের টর্নেডো অবশ্য সহসা থামেনি, দ্রুততম দলীয় ১৫০ রানের পর দ্রুততম দলীয় ডাবল হান্ড্রেডের কীর্তিও নিজেদের করে নিয়েছে। এভাবে ছুটতে থাকলে রেকর্ড বইয়ের আরও অনেক অধ্যায় নতুন করে লিখতে হবে।

Share via
Copy link