তর্কের খাতিরে ধরেই নিলাম যে সাকিব আল হাসান নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেলেননি। পরিস্থিতির বাকি সবটুকু বিষয় একটু সরিয়ে রাখলাম। তবুও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একাদশে কিংবা স্কোয়াডে সাকিবের সুযোগ পাওয়া উচিত না। প্রশ্ন জাগছে নিশ্চয়ই, কেন এমন অভিমত?
প্রশ্নের উত্তরটা একেবারে সহজ। সাকিব আল হাসান আন্ডারপারফরমার। বাকি দুই ফরম্যাটও এখানে আলোচ্য বিষয় নয়। শুধু টেস্ট ক্রিকেটেই সাকিব এই মুহূর্তে দলে সুযোগ পাওয়ার মত অবস্থানে নেই। এর পেছনে কারণ হিসেবে সামনে চলে আসবে ব্যাটে-বলে সাকিবের অফফর্ম।
শুধু এই ২০২৪ সালে সাকিব ৫টি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এই ৫ টেস্টের ৯টি ইনিংসে ব্যাট হাতে বাইশ গজে এসেছেন বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটার। এই ৯ ইনিংসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের একটি ইনিংস খেলতে পেরেছেন সাকিব আল হাসান।
এই সময়ে মাত্র ১৯.৩৭ গড়ে রান করেছেন বা-হাতি এই অলরাউন্ডার। সর্বসাকুল্যে তার সংগ্রহ ১৫৫ রান। ২০২২ সালেও তার গড় ছিল ৩০ এর ঘরে। সেই ব্যাটার সাকিবের ভীষণ অবনমন হয়েছে চলতি বছরে। চোখের সমস্যার কারণে এমনটি হয়েছে। সাকিবকে হয়ত এই অজুহাতে দলে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
কিন্তু বল হাতেও যে সাকিব নিজের ছায়া হয়ে আছেন। বল হাতে বাইশ গজে আসতে যেন সাকিবের বড্ড অনীহা। হাতের সমস্যা ভিন্ন গল্প। সে সমস্যা ছাড়াও সাকিবের রয়েছে বা-হাতি জুজু। বা-হাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে সাকিবের বল ছুড়তে যেন রাজ্যের ভয়। অথচ এমনটা তো তার কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
এই বছর বল হাতেও ভীষণ মলিন সাকিব। মাত্র ১৩টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। দশ ইনিংসেই হাত ঘুরিয়েছেন। এই দশ ইনিংসে মোট ১৫০ ওভার করেছেন সাকিব আল হাসান। অথচ ২০২২ সালেও দশ ইনিংসে তিনি ১৯১.৪ ওভার বল করেছেন।
স্বভাবতই ২০২৩ সালের প্রসঙ্গ কেন আসছে না, সে প্রশ্ন উঠতে পারে। ২০২৩ সাল বিবেচিত হচ্ছে না, কারণ তিনি একটিমাত্র টেস্ট ম্যাচই খেলেছেন গেল বছরে। সার্বিক পরিসংখ্যান ও মাঠে সাকিবের পারফরমেন্স তার পক্ষে নেই। এমন পরিস্থিতিতে স্রেফ অভিজ্ঞতার বলে, একজন খেলোয়াড়ের দলে সুযোগ পাওয়ার কথা নয়।