এভাবেও আউট হওয়া যায়!

যেসব দর্শক নিয়মিত ক্রিকেট খেলা দেখেন তাঁরা ঠিক সঠিকভাবে বলতে পারবেন না বোল্ড আউট, ক্যাচ আউট, লেগ বিফোর উইকেট, রান আউট, হিট আউট এবং স্ট্যাম্পিংয়ের বাইরে অন্য কোনো আউট ক্রিকেট মাঠে সর্বশেষ কবে দেখেছিলেন। কিন্তু এইসবের বাইরেও অন্য কারনে আউট হবার নজির যে ক্রিকেট মাঠে নাই সেটা বলা যাবে না। এই ধরনের আউট হবার নজির ক্রিকেটে অনেক বারই ঘটেছে। এই সব উইকেটের বাইরে ব্যতিক্রমী কিছু আউট আছে, তা নিয়ে খেলা ৭১ এর আজকের এই আয়োজন।

ক্রিকেট মাঠে কত ধরনের আউট আছে তা সঠিকভাবে একজন ক্রিকেটারও ঠিকমত বলতে পারবেন কি সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে। ক্রিকেট মাঠে সাধারণত ছয় ধরনের আউট দেখা যায়। কিন্তু এর বাইরেও কিছু আউট আছে। সেগুলো সাধারণত কালে ভদ্রে ক্রিকেট মাঠে ঘটে থাকে।

যেসব দর্শক নিয়মিত ক্রিকেট খেলা দেখেন তাঁরা ঠিক সঠিকভাবে বলতে পারবেন না বোল্ড আউট, ক্যাচ আউট, লেগ বিফোর উইকেট, রান আউট, হিট আউট এবং স্ট্যাম্পিংয়ের বাইরে অন্য কোনো আউট ক্রিকেট মাঠে সর্বশেষ কবে দেখেছিলেন। কিন্তু এইসবের বাইরেও অন্য কারনে আউট হবার নজির যে ক্রিকেট মাঠে নাই সেটা বলা যাবে না। এই ধরনের আউট হবার নজির ক্রিকেটে অনেক বারই ঘটেছে। এই সব উইকেটের বাইরে ব্যতিক্রমী কিছু আউট আছে, তা নিয়ে খেলা ৭১ এর আজকের এই আয়োজন।

  • বিমান দেরি করাতে টাইম আউট হয়ে আউট

বিমান দেরি করার কারণে টাইম আউট হয়ে আউট হন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ভাসবার্ট ড্রেকস। এই ঘটনা ছিলো ২০০২ সালের। দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এইভাবে টাইম আউট হয়ে আউট হন তিনি। টাইম আউট হলো,একজন ব্যাটসম্যান যদি নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে মাঠে নামতে ব্যর্থ হন তাহলে তিনি আউট বলে গণ্য হবেন।

২০০২ সালে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্য ছিলেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ভাসবার্ট ড্রেকস। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া দল বোর্ডারের হয়ে খেলার কথা ছিলো। এর জন্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ করেই দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্লাইট ধরেন তিনি। আর যে সময়ে তাঁর ফ্লাইট ছিলো এতে তাঁর ঠিক সময়মত দক্ষিণ আফ্রিকায় নেমে ম্যাচ খেলার কথা ছিলো। এর জন্য তার দল তাকে একাদশে রেখেছিলো। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত ভাসবার্ট ড্রেকসের ফ্লাইট বিলম্ব হয়। এর ফলেই তিনি টাইম আউট হয়ে যান।

  • গ্লাভস পড়ে যাওয়ার কারণে হিট আউট

এই ঘটনাটি ঘটে ১৯৫৩ সালে ডার্বিশায়ার এবং সারের মধ্যকার কাউন্টি ম্যাচে। ডার্বিশায়ারের হয়ে ব্যাটিং করছিলেন অ্যালান রেভিল এবং সারের পক্ষে বোলিং করছিলেন কিংবদন্তি বোলার অ্যালেক বেডসার।

হাতের ব্যাথার কারণে ব্যাটিং করার সময় কাতরাচ্ছিলেন অ্যালান রেভিল। এই সময়ে দূর্ভাগ্য বশত হাত থেকে গ্লাভস ছুটে গিয়ে পড়ে স্ট্যাম্পের উপর। আর এর ফলেই স্ট্যাম্পের বেল পড়ে যায়। আর সাথে সাথেই আউট ঘোষণা করা হয় অ্যালান রেভিলকে।

  • স্ট্যাম্পের বাইরে বাউন্স করা একটি বলের আঘাতে বোল্ড আউট

এখনকার দিকে এই ঘটনাটি ঘটলে এই উইকেট কখনো ঘটতো বলে মনে হয় না। এই উইকেটের শিকার ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান মার্টিন ডোনলি। ১৯৪৮ সালে এই উইকেটের ঘটনা ঘটে কাউন্টি ম্যাচে ইয়র্কশায়ার এবং মিডলসেক্সের মধ্যকার ম্যাচে।

মিডলসেক্স স্পিনার জ্যাক ইয়ং বল করেছিলেন ইয়র্কশায়ারের ব্যাটসম্যান মার্টিন ডোনলিকে। এই বল ডোনলির পায়ে লেগে স্ট্যাম্পের পিছনে গিয়ে পড়ে। কিন্তু কোনোভাবে বলটি স্ট্যাম্পের দিকে ফিরে আসে। এর ফলেই স্ট্যাম্পের বল পড়ে যায়। আর এর ফলেই আউট ঘোষিত হন মার্টিন ডোনলি। তিনি যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন তখন ৫৫ রানে ছিলেন মার্টিন ডোনলি।

  • পাখির কারণে বোল্ড আউট

সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার এবং প্রধান নির্বাচক জন ইনভেরারিটি ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ অদ্ভুত ভাবে আউট হন। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে।

পশ্চিম অঞ্চলের ব্যাটসম্যান জন ইনভেরারিটি বোল্ড আউট হন গ্রেগ চ্যাপেলের বলে। গ্রেগ চ্যাপেল যখন বল করেন ঠিক সেই সময়ে ব্যাটসম্যানের সামনে দিয়ে একটি পাখি উড়ে যায়, ফলে ব্যাটসম্যান বল দেখতে পারেনি। আর ব্যাটসম্যান আউট হন। আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ব্যাটসম্যান জন ইনভেরারিটি। আম্পায়ার এই অবস্থা বুঝতে না পেরে আবারো তাকে মাঠে ডেকে আনেন। পরবর্তীতে তাকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার।

  • জে বি ডাব্লিউ (জ বিফোর উইকেট)

এই উইকেটে শিকার হয়েছিলেন কাউন্টি দল গ্লাস্টারশায়ারের অধিনায়ক টম পো। ঘটনাটি ঘটেছিলো ১৯৬১ সালে নটিংহামশায়ারের বিপক্ষে ম্যাচে।

ইংলিশ পেসার ডেভিড লার্টার বল করেছিলেন টম পো কে। বলটি ছিলো একটি বাউন্সার। বলটি আঘাত করে টমের চোয়ালে আঘাত করে। চোয়ালে আঘাত করার পর আম্পায়ার তাঁকে আউট ঘোষণা করেন। ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র জ বিফোর উইকেট এটি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...