অভিষেকের চার বছরের মধ্যেই অবসর!

আবদুল কাদিরের মতই বোলিং স্টাইল, নজরে আসতে তাই সময় লাগেনি উসমানে। ২০২০ সালের ডাক পান জাতীয় দলে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে ওঠে তাঁর।

বাপ কা বেটা – কিংবদন্তি স্পিনার আবদুল কাদিরের ছেলে উসমান কাদিরও হেঁটেছিলেন বাবার দেখানো পথে। কিন্তু স্থায়ী হলো না সেই পথচলা, অভিষেকের মাত্র চার বছর পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন তিনি। এখন থেকে কেবল দেশি-বিদেশী ফ্রাঞ্চাইজি লিগে দেখা যাবে তাঁকে।

আবদুল কাদিরের মতই বোলিং স্টাইল, নজরে আসতে তাই সময় লাগেনি উসমানের। ২০২০ সালের ডাক পান জাতীয় দলে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে ওঠে তাঁর। এরপর থেকে ২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি, নিয়েছেন ৩১ উইকেট। এছাড়া ওয়ানডেতে একটি ম্যাচ খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এই স্পিনারের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত না হলেও ফেলে দেয়ার মত নয়। বোলিং ইকোনমি আটের নিচে, গড় ১৮.৪৮ আর স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৪। তবু কেন যেন অবহেলিত হয়েছেন তিনি, স্পিন বিভাগের দুরবস্থা সত্ত্বেও গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁকে বিবেচনা করেনি টিম ম্যানেজম্যান্ট। এমন কি আগামী দিনে পরিকল্পনায় তাঁর জায়গা হবে কি না সেটাও অনিশ্চিত।

জাতীয় দলে খেলা নিয়ে রয়েছে সংশয়, অথচ ভিনদেশি লিগে খেলার প্রস্তাব পেয়েও পিসিবির এনওসির কারণে কয়েকবার খেলতে পারেননি এই লেগি। তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলে, ‘উসমান এবং তাঁর মত কয়েকজন ক্রিকেটার এনওসির ব্যাপারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে স্পষ্ট কোন বার্তা পায়নি। এই কারণে সে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশকিছু লোভনীয় প্রস্তাব পেলেও খেলতে যেতে পারেনি।’

সেজন্যই এই তারকা বেছে নিয়েছেন অবসরের সিদ্ধান্ত, তবে বিদায়ের আগে পাকিস্তানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা কতটা সম্মানের সেটাও অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি।

এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে আমার অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। এর আগে পাকিস্তানের প্রতি আমি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। দেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য ব্যাপক সম্মানের ছিল এবং আমি কোচসহ যারা আমাকে সমর্থন করেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

Share via
Copy link