প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের হয়ে র্যান্ডাল কোলো মুয়ানি গত ছয় ম্যাচে গোল বা অ্যাসিস্ট করতে পারেননি; সবশেষ সেপ্টেম্বরের শুরুতে লিঁলের বিপক্ষে একটা গোল করেছিলেন তিনি। ক্লাবের জার্সিতে তাঁর ফর্মের এমন অবস্থা; কিন্তু কি আশ্চর্য, জাতীয় দলে আসলেই ভিন্ন রূপে দেখা যায় তাঁকে, ফ্রান্সের ড্রেসিংরুম বদলে দেয় তাঁকে।
এই তো শক্তিশালী বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচেই জোড়া গোল করে ফরাসিদের আভিজাত্য রক্ষা করেছেন এই ফরোয়ার্ড। শুরুটা হয়েছিল স্পট কিক থেকে, গোলরক্ষককে উল্টা দিকে পাঠিয়ে সহজ ভঙ্গিতে গোল আদায় করেন তিনি। তবে দেখতে সহজ হলেও কাজটা সহজ ছিল না, মিনিট দশেক আগেই বেলজিয়ান তারকা ইয়োরি তিয়েলেম্যান্স পেনাল্টি মিস করেছিলেন।
যদিও বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি ফ্রান্স; তিমোথি ক্যাস্টাগন লেফট উইংয়ে কাটব্যাক করে একেবারে নিখুঁত ক্রস পাঠান ডি বক্সে, সেই ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে মাইক মাইগনানের হাতের নিচ দিয়ে বল জালে পাঠান ইকোমা ওপেন্দা।
তবু জয় পেতে সমস্যা হয়নি ফ্রান্সের, কেননা মুয়ানি নামে একজন ছিলেন মাঠে। দলকে পুনরায় লিড এনে দেয়ার কাজটা করেছেন মুয়ানি, মার্কারকে ছাড়িয়ে হেডের জন্য যেভাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি, এরপর আর গোল করা কঠিন কিছু নয়। এই নিয়ে নেশন্স লিগে তাঁর গোল সংখ্যা দাঁড়ালো তিনে।
বিশ্বকাপ ফাইনালের অন্তিম মুহূর্তে এই স্ট্রাইকার করেছিলেন অমার্জনীয় ভুল। শট না নিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পাস দিলেই হয়তো ব্যাক টু ব্যাক বিশ্বকাপ জিততো ফ্রান্স, আবার নিজে ঠিকঠাক ফিনিশ করতে পারলেও একই পরিণতি হত। সেই অতীত ভুলে তিনি অবশ্য দায়িত্ব নিতে শিখেছেন, এমবাপ্পের অনিয়মিত উপস্থিতিতে দলের মেইন ম্যান তাঁকেই বলা চলে।
মুয়ানির কাছে হেরে গেলেও এদিন বেলজিয়াম অগ্নি পরীক্ষা নিয়েছে সফরকারীদের, ২০টা অন টার্গেট শট সেই কথারই সাক্ষ্য দেয়। তবে দিন শেষে ফলাফলটাই আসল, শেষ পনেরো মিনিট দশজনের দল নিয়ে খেলেও জয় পেয়েছে ফরাসিরা।