প্রত্যাবর্তনে নজর কাড়তে হয় ওয়াশিংটন সুন্দরের মত করে। ভাবনার বাইরে থেকে এসে কি করে আলোর কেন্দ্রবিন্দু হতে হয়, তা দেখিয়েছেন সুন্দর। ধুমকেতু হয়ে আগমনে নিউজিল্যান্ডকে হতভম্ব করে দিয়েছেন ওয়াশিংটন।
এদফা হুট করেই স্কোয়াডে ডেকে নেওয়া হল তাকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পুনে টেস্টের একাদশেও সুযোগ দেওয়া হয়। তাকে একাদশে জায়গা দিতে বাদ দেওয়া হয়েছে কুলদ্বীপ যাদবকে। সেই আস্থার প্রতিদান দিতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি। যখন নিউজিল্যান্ড ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের তালুবন্দী করেছিল ঠিক সে মুহূর্তে আঘাত হানেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
পরপর দুই ওভারে নিউজিল্যান্ডের হাত থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেন তিনি। প্রথমে আউট করেন দূর্দান্ত খেলতে থাকা রাচিন রবীন্দ্রকে, এরপর টম ব্লান্ডেলকে। দুইটি উইকেটই তিনি তুলে নেন বোল্ড আউটের সহয়তায়। চোখ ধাঁধানো দুই ডেলিভারিতে তিনি পরাস্ত করেন দুই ব্ল্যাকক্যাপস ব্যাটারদের।
রাচিনের ক্ষেত্রে বল মিডল স্ট্যাম্পে পিচ করে অফ স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলে। ব্লান্ডেলের ক্ষেত্রে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে পিচ করান বল। শার্প টার্নে সে বল উপড়ে ফেলে স্ট্যাম্প। ব্যাস! নিয়ন্ত্রণ চলে আসের ভারতের কাছে। এরপরই নড়বড়ে হয়ে যায় ব্ল্যাকক্যাপসদের ব্যাটিং দূর্গ। মুহূর্তের মধ্যের দৃশ্যপট বদলে দিয়ে ওয়াশিংটন নিজের প্রত্যাবর্তন জানান দিলেন। এবার তিনি প্রস্তুত হয়েই এসেছেন। লম্বা অপেক্ষার প্রহর শেষে পাওয়া সুযোগটা হেলায় হারাতে দিতে চাননা।
এর আগে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন সেই ২০২১ সালে। তার মূল দায়িত্ব ছিল বল হাতে। কিন্তু সে দায়িত্ব তিনি সে সময় পালন করতে হয়েছিলেন ব্যর্থ। ৮ ইনিংসে ৮ উইকেট পেয়েছিলেন। ঠিক সে কারণেই বাদ পড়েছিলেন তিনি। যদিও ব্যাট হাতে দূর্দান্ত খেলেছিলেন তিনি। ৬ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তিনটিতেই তুলে নিয়েছিলেন অর্ধশতক। এর মধ্যে ৯৬ রানে অপরাজিত থেকেছেন একবার। আরেকবার ৮৫ রানে ছিলেন অটল।
তবুও বাদ হতে হয়েছিল তাকে। কারণ আট নম্বর ব্যাটারের কাছ থেকে ভারতের রানের প্রত্যাশা থাকে না। তার মূল দায়িত্ব বল হাতে। পাশাপাশি টুকটাক ব্যাটিংটা করে দেবেন। সে দায়িত্বটা এবার নেওয়ার জন্যে প্রস্তুত ওয়াশিংটন সুন্দর। এবার অন্তত লাল বল ছুটে যাবে না তার হাত থেকে।