ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ আসরে হয়েছে রান বন্যা। ব্যাটাররা মেতে উঠেছিলেন বাউন্ডারি উৎসবে। স্বাভাবিকভাবেই তাই মানসম্মত ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট বোলারদের কদর বেড়েছে। আইপিএলের পরবর্তী মেগা নিলামের আগে তাই ফ্রাঞ্চাইজিগুলো ছক কষতে বসেছে। ডেথ বোলারদের রেখে দেওয়ার একটা প্রবণতাও দেখা যেতে পারে।
যার মধ্যে অন্যতম জাসপ্রিত বুমরাহ। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাণ্ডারি তিনি। তাকে একবার হাতছাড়া করলে ফেরত পাওয়া হয়ে যাবে দুষ্কর। সে কথা ভাল করে জানাই মুম্বাইয়ের। বর্তমান বিশ্বে এমন আরও একজন বোলার খুঁজে পাওয়াই তো প্রায় অসম্ভব।
তাছাড়া গেল বেশ কিছু আসর ধরে ডেথ ওভারে মাত্র ৭ এর একটু বেশি ইকোনমিতে বল করেছেন জাসপ্রিত। তার পকেটে আছে ১৮ খানা উইকেট। বুদ্ধিদীপ্ত, বোলিংয়ের জন্যে তাকে রেখে দেওয়ার বিকল্প নেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সামনে। জাসপ্রিত মানের হওয়া তো সম্ভব নয়, তবে আর্শদ্বীপ সিংও নিজেকে মেলে ধরছেন ক্রমশ।
পাঞ্জাব কিংস তাকে রিটেন করতে চাইবে নিঃসন্দেহে। কেননা বা-হাতি এই পেসার ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করেন বোলিং আক্রমণে। এছাড়াও ডেথ ওভারে যথেষ্ট সংযত তিনি রান খরচের দিক থেকে। ২০২২ সাল থেকে ডেথ ওভারে ৯.৬২ ইকোনমিতে রান দিয়েছেন, নিয়েছেন ২২ খানা উইকেট।
উইকেট প্রাপ্তিতে আর্শদ্বীপকে ছাপিয়ে গেছেন হার্শাল প্যাটেল। শেষ তিন আইপিএলে ৩৭ খানা উইকেট বাগিয়েছেন শেষের ৪ ওভারে বল করে। তাছাড়া ব্যাটারদের রুদ্রমূর্তি সামলে ১০.১০ ইকোনমি রেটে রান দিয়েছেন তিনি। তাইতো তাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আর্শদ্বীপের সাথে হার্শালের জুটিকে অক্ষত রাখতে চাইবে পাঞ্জাব কিংস।
এই দুইজনই হতে পারে পাঞ্জাবের শিরোপা জয়ের কারিগর। সেটা উপলব্ধি করা বাকি নেই নিশ্চয়ই। শিরোপা খরায় রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুও। কিন্তু বিরাট কোহলির ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে একটা ট্রফি নিশ্চয়ই জিততে চায় ব্যাঙ্গালুরু। আর তাদের সেই স্বপ্নের পথের সারথি হতে পারেন ইয়াশ দয়াল।
একটা ভয়ংকর অধ্যায় আছে তার। রিঙ্কু সিংয়ের কাছে ৫ ছক্কা হজম করে ম্যাচ হারিয়েছিলেন দয়াল। সেটা অবশ্য নিছক এক দুর্ঘটনা। ডেথ ওভারে তিনিও যথেষ্ট কার্যকর বোলার। ১০.৪৯ ইকোনমিতে তিনি বল করেছেন শেষের চার ওভারের সময়। তাছাড়া ১২টি উইকেটও রয়েছে তার ঝুলিতে। তাছাড়া গেল আসরে ব্যাঙ্গালুরুর জার্সিতে অন্যতম সফল ছিলেন ইয়াশ।
তাকে রাইট টু ম্যাচ ব্যবহার করে হলেও ধরে রাখার চেষ্টা চালাতে পারে ব্যাঙ্গালুরু। একই পথে হাটতে পারে চেন্নাই সুপার কিংসও। তারা তরুণ তুর্কি মাথিশা পাথিরানাকে প্রাথমিকভাবে রিটেন না করলেও নিলাম থেকে দলে ভেড়াতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ব্যবহার করবে ‘রাইট টু ম্যাচ’।
আন-অর্থোডক্স পেসার পাথিরানা চেন্নাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য। শেষের দিকে মাত্র ৮.৩৬ ইকোনমিতে রান দিয়েছেন তিনি বিগত আসরগুলোতে। সেটাই যে ডেথ বোলার পছন্দের মূল নিয়ামক। তাইতো পাথিরানাকে হাতছাড়া করতে চাইবে না চেন্নাই। এমনকি তাকে সরাসরি রিটেন করতে পারে দলটি।