সুপ্রসন্ন ভাগ্য নিয়েও সেঞ্চুরি বঞ্চিত মুমিনুল

তাতেও রক্ষা হয়নি তার। ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল বটে। বহুবার তার বিরুদ্ধে আউটের আবেদন জানিয়েছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু বেঁচে গেছেন তিনি।

বেশ কয়েকবার জীবন পেয়েছিলেন মুমিনুল হক। তবুও শেষ রক্ষা হল না তার। হুট করে সেনুরান মুথুসামি এলেন বোলিং প্রান্তে। আর এসেই প্যাভিলিয়নে ফেরালেন তিনি মুমিনুল হককে। ৮২ রানে থেমে গেল মুমিনুলের সংগ্রামী ইনিংস।

তবে আদতে যতটা সংগ্রামী ঠেকছে ততটাও সংগ্রামী ইনিংস ছিল কি-না সে প্রশ্ন থেকেই যায়। চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটে, রান পাহাড় গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৭৫ রানের পাহাড়ের নিচে পিষ্ট বাংলাদেশ। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের অবস্থানও সুখকর নয়।

সবকিছুর প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে সাগরিকার বুকে। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে বাংলাদেশ হারিয়েছে চার উইকেট। তখন বাংলাদেশের ভরসার জায়গা ছিলেন মুমিনুল হক। তার কাঁধে ভর করে লড়াই করবার কথাই হয়ত ভেবেছিল বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।

মুমিনুল অবশ্য ভরসার জায়গাটা রেখেছেন। কিন্তু বাকিরা সঙ্গ দেওয়ার মানসিকতাই যেন লালন করেননি। বৃষ্টির পানি নদীতে মিশে যাওয়ার মত করে, বাংলাদেশের প্রতিটি উইকেট গড়াগড়ি করেছে সাগরিকার বাইশ গজে। কিন্তু অবিচল থেকে, রানের পাহাড় বেয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়েছেন মুমিনুল।

তিনিও যে খুব ভাল ফর্মে ছিলেন, বিষয়টি তেমন নয়। ভারতের বিপক্ষে এক সেঞ্চুরি বাদে, বলার মত কোন স্কোর আসেনি মুমিনুলের ব্যাট থেকে। নিজেকে পুর্নজাগরণ করবার একটা বিষয়ও ছিল মুমিনুলের জন্য। তাইতো একাই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। তাইজুল ইসলাম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন।

৪৮ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তাইজুল আস্থা জুগিয়েছেন, মুমিনুল রান বাড়িয়েছেন। দুই জনে মিলে ১০৩ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটি গড়ার পথে ব্যক্তিগত শতকের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুমিনুল। ৮২ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন।

বেশ কয়েকবার নিজের অবস্থান দেখে নিয়ে, রিভিউ নেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। তবে তাতেও রক্ষা হয়নি তার। ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল বটে। বহুবার তার বিরুদ্ধে আউটের আবেদন জানিয়েছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু বেঁচে গেছেন তিনি। ভাগ্যকে সাথে নিয়ে ১৪ তম সেঞ্চুরিটা পাওয়া হল না তার। ঝড়ের বুকে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছ হতে চেয়েছিলেন সম্ভবত, কিন্তু তাকেও শেষ অবধি নুইয়ে পড়তে হল।

Share via
Copy link