বাবা দিয়েগো সিমিওনে, কোচ হিসেবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হাল ধরে আছেন এক যুগের বেশি সময়। এবার সেই অ্যাতলেটিকোর কাণ্ডারি হওয়ার পথে পা রাখলেন ছেলে জিউলিয়ানো সিমিওনে। লাল-সাদা জার্সি গায়ে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি – শুরু হলো সিমিওনে জুনিয়রের অধ্যায়।
৩৭ মিনিটের সময় ডান দিকে লফটেড পাস বাড়ান আর্জেন্টাইন নাহুয়েল মলিনা। স্বদেশী সিমিওনে সেই বল পেয়ে দ্রুত গতিতে ঢুকে পড়েন ছয় গজ ব্যাসার্ধের বক্সে। এরপর দুরূহ কোণ থেকেই শট নেন গোলমুখে এবং গোল – দুই আর্জেন্টাইনের যুগলবন্দীতে লাস পালমাসের বিপক্ষে গোল পায় স্বাগতিকরা।
অবদান রাখতে ভোলেননি বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আরেক তারকা রদ্রিগো ডি পলও। থ্রু পাসে তিনি খুঁজে নিয়েছিলেন ডি বক্সে থাকা অ্যালেক্সান্ডার সরলথকে। ঠান্ডা মাথায় সেই বল জালে পাঠিয়ে ছিলেন এই স্ট্রাইকার – ম্যাচের বাকি অংশে তেমন কিছু হয়নি আর, ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। তাতেই টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে তাঁরা।
অবশ্য জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় এখন দলটির কোচের পুত্র জিউলিয়ানো সিমিওনে। ২০০২ সালে জন্ম নেয়া সিমিওনে বাবাকে দেখেই হয়তো স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন ফুটবলকে ঘিরে। পেশাদার পর্যায়ে তিনি সূচনা করেছিলেন রিভার প্লেট যুব দলের হয়ে, ২০২০ সালে তাঁকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন দিয়েগো।
এরপর যুব দলের হয়ে খেলেছেন জুনিয়র সিমিওনে, মাঝে রিয়াল জারাগোজা এবং আলাভেস শিবিরে ধারে খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে চলতি মৌসুমে সুযোগ আসে অ্যাতলেটিকোর হয়ে মাঠে নামার, অ্যাতলেটিকো বিলবাওয়ের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নামানো হয় তাঁকে।
লেগানেসের বিপক্ষে অ্যাসিস্ট করে প্রথমবার স্কোরবোর্ডে নাম তুলেছিলেন এই উইঙ্গার। এবার তো অভিষেক গোল পেয়ে গেলেন – পিছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ আর নেই। অন্তত বাবার হাসিমুখের কথা ভেবে তিনি নিশ্চয়ই চাইবেন রিয়াদ এয়ার মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে নিজের একটা সোনালী ইতিহাস তৈরি করতে। যার জন্মদাতা ফুটবলের মাস্টার, যার ভাই নাপোলির তারকা, তাঁর জন্য কাজটা মোটেই কঠিন হওয়ার কথা নয়।