দানি অলমো, ইউরোর সেরা খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন। কিন্তু প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট জোটেনি ভাগ্যে, এমনকি লামিন ইয়ামাল, রদ্রির ঝলকানিতে লাইমলাইটেও আসা হয়নি তাঁর। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে বার্সেলোনার জার্সিতেও, ভাল খেলেও স্বীকৃতি পাচ্ছেন না ঠিকঠাক।
ইনজুরির কারণে উল্লেখযোগ্য একটা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন এই ফরোয়ার্ড, কিন্তু যখনই খেলতে নেমেছেন নিজের সেরাটা দিয়েছেন। এই যেমন এস্প্যানিওলের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই করে বসেছিলেন জোড়া গোল। একমাসের বেশি সময় পর এদিনই শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েছেন তিনি, অথচ খেলায় একবিন্দু জড়তা নেই তাঁর।
স্কোরবোর্ডে নাম তুলতে স্রেফ বারো মিনিট লেগেছে এই স্প্যানিশের; লামিন ইয়ামালের একটা পাসেই পরাস্ত হয়েছিল প্রতিপক্ষের রক্ষণ, তিনি কেবল গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে লিড এনে দিয়েছিলেন দলকে। এর মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় মাস পর গোল জুটলো তাঁর কপালে।
মিনিট বিশেক পরে আরো একবার, এবার প্রায় একক প্রচেষ্টায় গোল করলেন অলমো। ডি বক্সের সামনে থেকে শট নিয়েই বল জালে জড়ান তিনি; এর আগে অবশ্য অধিনায়ক রাফিনহা গোল করেছিলেন। সবমিলিয়ে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা, সেই সাথে নিশ্চিত হয়ে যায় আসরের এগারোতম জয়ও!
শুরু থেকেই হাই প্রেসিং, মাঝমাঠে আধিপত্য বিস্তার আর দুই উইং ধরে গতিময় ফুটবল – বার্সেলোনার খেলার টেমপ্লেট এখন এটাই। রাফিনহা, ইয়ামালের কারণেই হ্যান্সি ফ্লিকের উইং বেসড পরিকল্পনা সফল হয়েছে। এর সাথে ‘নাম্বার টেন’ ভূমিকায় দানি অলমো আগুনে ঘি ঢালার মতই। আর এই আগুনে রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখের মত দলও ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
বলতে হয় হাই লাইন ডিফেন্সের কথাও; প্রতিপক্ষের নিশ্চিত গোল আটকে যায় অফসাইডে। এস্প্যানিওল-ই তো দুই দুইবার গোল করেও অফসাইডে গোলবঞ্চিত হয়েছে। তা না হলে ম্যাচের ভাগ্য আরেকরকম হতে পারতো।