রোহিতের জুতোয় পা গলাবেন কে!

ঠিক যেন সে সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ১৮ বছর বয়স কবিতার উদ্যমী তরুণ, ত্রাসের রাজ্বতেই যেন তার লক্ষ্য

রোহিত শর্মার ইতিহাস এবার ছোবেন কে? ভারতীয় ক্রিকেট এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।

রোহিত শর্মা সব ফরম্যাটে অধিনায়ক হন ২০২১ সালে। এর পরের তিন বছরে একাধিক আইসিসি ইভেন্টের রানার আপ ও একটির শিরোপা জিতেছে ভারত। রোহিত শর্মা যেন সত্যিকারের ‘শর্মাজি কা বেটা’র মত ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

কিন্তু, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়। বয়সটা আর সায় দিচ্ছে না, বেড়ে বেড়ে বেলা গড়িয়ে হয়েছে ৩৭। শরীরটা চলে না, ফিটনেসহীনতা চোখে পড়ার মত। বিশেষ করে টেস্টের সর্বশেষ ১০ ইনিংসে ১৩.৩০ গড়ে মাত্র ১৩৩ রান করেছেন, দুই অংকের রানের ঘরেই পৌছাতে পারেননি ছয় বার।

নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত দেশের মাটিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে ভারতকে। তাই তো ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত কিংবা বা সুনীল গাভাস্কার – সবাই বলছেন এখনই সময় রোহিতের বিকল্প ভাবার।

ভারত অধিনায়কত্বের ব্যাটন পরিবর্তনে মুন্সিয়ানার পরিচয় দেয় বরাবরই। সৌরভ গাঙ্গুলির হাত ধরে মহেন্দ্র সিং ধোনি, ধোনির হাত ধরে বিরাট কোহলি কিংবা শেষে কোহলির হাত থেকে রোহিত। দায়িত্বটা সবসময় গিয়েছে যোগ্য ব্যক্তির কাঁধেই।

খোঁজ চলছে এখন আগামীর চওড়া কাঁধের, যা বইতে পারবে প্রায় ১৪০ কোটি মানুষের প্রত্যাশা। টি-টোয়েন্টিতে সেই জায়গাটা আপাতত সুরিয়াকুমার যাদবের। তবে, সমস্যা হল তিনি বাকি দুই ফরম্যাটে নিয়মিত নন।

এখানে ভারতের জন্য আদর্শ সমাধান হতে পারেন ঋষাভ পান্ত কিংবা জাসপ্রিত বুমরাহ। কিন্তু, পেসার হিসেবে জাসপ্রিত ‍বুমরাহ’র ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের বিষয় থাকবে। সেদিক থেকে পান্ত পাবেন প্রাধান্য, একে তো তিনি সবগুলো ফরম্যাট খেলেন।

আবার ভয়ডরহীন মানসিকতার জন্য তিনি যথেষ্ট প্রশংসিতও হন। আগ্রাসী মনোভাবে এখানে তাঁকে হয়তো হার্দিক পান্ডিয়ার সাথে লড়তে হবে। তবে, হার্দিক আবার টেস্ট খেলেন না। তাই, সবগুলো ফরম্যাট বিবেচনা করলে পান্তের নামই ঘুরে ফিরে আসবে বার বার।

জটিলতা একটা আছে অবশ্য, পান্ত ব্যাটার হিসেবে খামখেয়ালি, রহস্যে ঘেরা। এমন একজনকে অধিনায়কত্বের ছকে আটকাতে চাইলে সেটা হিতে বিপরীত হতে পারে। অধিনায়কত্বের এই গোলক-ধাঁধার সমাধান রোহিত শর্মার মেয়াদে হলেই হয় এখন!

Share via
Copy link