বয়স বাড়লে ভয়ঙ্কর সিংহের শরীরেও স্থবিরতা নেমে আসে, ধীরে ধীরে ক্লান্তি নামে শরীরে। লিওনেল মেসিও বোধহয় ফুটবল জীবনের সেই পর্যায়ে আছেন, আগের মত সেই গতি কিংবা তীক্ষ্ণ ড্রিবলিং তো দেখাই যায় না।
মেজর লিগ সকার (এমএলএস) খেলার কারণেই হয়তো, সাম্প্রতিক সময়ে রিফ্লেক্সও ধীর হয়ক গিয়েছে তাঁর। এসব কিছুর ছাপ পড়েছে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে, বেশ ভালভাবেই ফুটে উঠেছে আসলে।
পুরো নব্বই মিনিট খেলে তিনি কেবল নিজের ক্ষয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন। এই তারকা খারাপ খেলেছেন কিংবা সহজ গোল মিস করে দলকে ডুবিয়েছেন এমন কিছু কিন্তু নয়। অন্য অনেকের চেয়ে ভাল করেছেন তিনি।
‘নাম্বার টেন’ ভূমিকায় তাঁর পারফরম্যান্স গড়পড়তা যেকোনো মিডফিল্ডারকে ঈর্ষান্বিত করবে। দুইটা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি, ডুয়েল জিতেছিলেন পাঁচবার – সমালোচনা করার মত পারফরম্যান্স নয় মোটেই।
কিন্তু মেসির কাছে আসলে প্রত্যাশাটা বেশি, বাকিরা কে কি করছেন তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ তিনি কি করছেন। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এর আগে তিনি খেলেছেন ১৩ ম্যাচ, এর মধ্যে পাঁচ গোল করার পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন পাঁচটি। তবে এদিন স্কোরবোর্ডে নাম তোলা হলো না তাঁর।
ওপেন প্লের মত সেটপিসেও সাবেক বার্সা ফরোয়ার্ড অ্যাকুরেসি হারিয়েছেন কিছুটা, কর্নার বা ফ্রি কিক থেকে গোলের সেরকম কোন উপলক্ষ তৈরি করতে পারেননি তিনি। যদিও এক ম্যাচ দেখে বিচার করা যায় না, হয়তো পরের ম্যাচেই দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের কোন কাব্য রচিত হবে তাঁর এক জোড়া পায়ে।
তবে, আপাতত মেনে নিতেই হয়, বয়স বাড়ছে মেসির। আর সেই বয়স বাড়ার কারণেই কি না, একবার তো মেজাজ হারিয়ে রেফারি কেও কি যেন বলে বসলেন! ২০২৬ বিশ্বকাপে এলএমটেন খেলবেন কি না সেই প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই জানেন না।
নিজের পারফরম্যান্স, ফিটনেস সবকিছু মাথায় রেখে শীঘ্রই হয়তো সিদ্ধান্ত নিবেন। তাই তো সমর্থকদেরও তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হচ্ছে; তাঁর প্রতিটা ম্যাচ, তাঁর খেলার ধরন সবকিছুই আতশি কাঁচের নিচে রাখতে হচ্ছে।