ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে সবশেষ কবে শুরুর একাদশে ছিলেন এঞ্জো ফার্নান্দেজ ? উত্তর জানতে আপনাকে পিছিয়ে যেতে হবে এক মাসেরও বেশি সময়। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে প্রথম থেকে মাঠে ছিলেন তিনি।
এরপর থেকেই মাঠের পারফরম্যান্সে ছন্দহীনতা, পারিবারিক জীবন নিয়ে জটিলতা – তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল ফুটবলের। তবে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে উঠতেই সব দূরত্ব ঘুচে গেল।
চিরচেনা রূপে হাজির হলেন এই মিডফিল্ডার, যে রূপে তাঁকে চিনেছে পুরো বিশ্ব অনেকটা সেই রূপে। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে তিনিই ছিলেন আর্জেন্টিনার ইঞ্জিন কিংবা প্রাণকেন্দ্র।
স্কোরবোর্ডে তাকালেই দেখা যাবে একটা অ্যাসিস্ট আছে ব্লুজ তারকার ঝুলিতে, ম্যাচের শুরুতেই দারুণ একটা চিপ পাসে লাউতারো মার্টিনেজকে গোলের পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। তবে এতটুকুতেই আটকে থাকেননি, ম্যাচের বাকি অংশেও মাঝ মাঠের ছড়ি নিজের হাতে রেখেছিলেন।
পরিসংখ্যানও বলছে সেই কথা, এঞ্জোর ৮৮টি পাসের মধ্যে ৮০টি ছিল সফল। অর্থাৎ সফলতার হার নব্বই ভাগের বেশি। তবে তিনি বেশি মনোযোগ কেড়েছেন লং বল সাপ্লায়ার হিসেবে, একের পর এক লং বলে প্যারাগুয়ের রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েছেন। সবমিলিয়ে আটটা সফল লং বল পাঠিয়েছেন।
সেই সাথে ডুয়েল জিতেছেন ছয়টা আর ড্রিবলিংয়েও মোটের ওপর সফল এই তরুণ। ডিফেন্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও তিনি অবদান রেখেছেন; চারটা ট্যাকেল জিতেছেন, ক্লিয়ারেন্স আছে একাধিক। সবমিলিয়ে যতক্ষণ মাঠে রাখা হয়েছিল তাঁকে, ততক্ষণই রাজ করেছেন।
যদিও আর্জেন্টিনার জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, প্যারাগুয়ের মাঠে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ হারতে হয়েছে তাঁদের। সবশেষ চার ম্যাচে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত পরাজয়ের মুখ দেখলো তাঁরা।
অবশ্য তাতে এঞ্জো ফার্নান্দেজের কৃতিত্ব কমবে না, অন্তত সমর্থকরা ভুলবেন না। মাঠ আর মাঠের বাইরে ঝড় ঝাপটার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি, তবু আকাশী-নীল জার্সিটা গায়ে জড়িয়ে এমন পারফরম্যান্স উপহার দেয়া নি:সন্দেহে প্রশংসনীয়। ক্লাবে নিজের হারানো জায়গা ফিরে পাওয়ার মিশনে জ্বালানি হতে পারে এই পারফরম্যান্স।