ইতিহাস গড়লেন তিলক ভার্মা। ক্রমেই যেন ভারতীয় ক্রিকেটের পুরোটা আলো নিজের দিকে টানছেন তিলক। সেঞ্চুরির দিনে ব্যাটিং যেমন ছিল ঝড়ো, তেমনি উৎযাপনও ছিল মোক্ষম।
সেঞ্চুরি করার পরেই একটি হাত ফোন ধরার মতো করে কানে দেন। অপর হাতের তর্জনী থাকে আকাশের দিকে। ঐতিহাসিক ব্যাটিং শেষে তিনি নিজেই ভাঙলেন উৎযাপনের রহস্য।
বললেন, ‘আমার সাফল্য আমি ঈশ্বরকে উৎসর্গ করছি। সেজন্যই এভাবে সেলিব্রেট করেছি। আমি ইনজুরিতে ছিলাম, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আর আমার চেষ্টার ওপর আমার ভরসা ছিল।
চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারত জিতে ১৩৫ রানে। ২২ বছর বয়সী তিলক পেলেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে ভারতীয়দের এই রেকর্ড ছুঁতে পারেন কেবল সাঞ্জু স্যামসন।
তৃতীয় ম্যাচে অপরাজিত ১০৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর, শেষ ম্যাচে মাত্র ৪৭ বলে ১২০ রানের এক বিস্ফোরক ইনিংস খেললেন। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২৫৫.৩২। নয়টি চার এবং দশটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং লাইন আপকে ধ্বংস করে দিলেন এক নিমিষে।
বড় অবদান এখানে অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদবের। তিনিই তিলকের আবদার মিটিয়ে তাঁকে তিনে খেলতে দেন। তিলক বলেন, ‘ইনজুরি কাটিয়ে ফিরে এসে এমন পারফরম্যান্স করা কঠিন ছিল। কিন্তু, অধিনায়ক আমাকে ভরসা দিয়েছিলেন।’
টানা দুই সেঞ্চুরির রহস্য কি? তিলক বলেন, ‘গত বছর এখানে খেলতে এসে প্রথম বলেই আউট হয়েছিলাম! তাই এই ইনিংসটা আমার এবং দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি শান্ত থেকে, আগের ম্যাচের ব্যাসিক মেনে, নিজের ফর্ম ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। এটা অবিশ্বাস্য—এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুটো সেঞ্চুরি করার কথা কখনো ভাবিনি।’
সাফল্য এভাবেই সত্যি হয়ে ধরা দেয়। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম উজ্জ্বল প্রতিভারাও ধরা দেয় এভাবেই।