উসমান খান লড়াইটা একাই করছিলেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ব্যক্তিগত স্মরণীয় দিনে জুটল ট্র্যাজিক হিরোর তকমা।
যথারীতি বড় অবিবেচকের মত একটা ইনিংস খেললেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ২৬ বলে ১৬ রান করেন এই ওপেনার। আর এই ইনিংস পাকিস্তানের ওপর বিরাট চাপ বাড়ায়। একই সাথে উইকেট পতনের মিছিল তো আছেই।
এই অবস্থানে থেকেই পাল্টা আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছিলেন উসমান খান। আর সেই পথে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরিও পেয়ে যান। ৩৮ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছক্কা।
এর পথে পঞ্চম উইকে জুটিতে ইরফান খানের সাথে মিলে যোগ করেন ৫৮ রান। বলাই বাহুল্য, সেখানে ইরফানের রান মোটে ১৪। মানে অ্যাঙ্কর ছিলেন উসমান। পাকিস্তানের জয় যখন অবধারিত মনে হচ্ছিল, তখনই স্বপ্নের সমাপ্তি হয়। স্পেন্সার জনসনের বলে সাজঘরে ফিরে যান উসমান। পাকিস্তানের জয়ের আশাও সেখানেই শেষ।
পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম হলেও উসমান খান পেশাদার ক্রিকেট শুরু করেছিলেন আরব আমিরাতে; জাতীয় দল হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। হয়তো সবকিছু ঠিক থাকলে তাঁদের হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতেন, কিন্তু, সবকিছু বদলে দিয়েছে বিপিএল!
হ্যাঁ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) একটা ধনব্যাদ পেতেই পারে। সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি আসরে। সেই প্রথম লাইম লাইটে আসেন এই ডানহাতি।
সেই ছন্দ টেনে এনেছিলেন পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল)। হাঁকিয়েছিলেন শতক। আর সেখান থেকেই নিজের একটা পরিচিতি পেয়েছিলেন উসমান খান। আরব আমিরাতের স্বপ্ন মুছে ফেলে তিনি পুরোদস্তর হয়ে যান পাকিস্তানের। আর এখন তো তিনি পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত মুখ।