শান্ত নদী কিংবা উত্তাল সাগর

কখনও তিনি শান্ত নদী। কোনো তাড়া নেই। চলছে নীরবে। আছে, কিন্তু কেউ টের পাবে না। কখনও বা তিনি উত্তাল। সেই উত্তালতা হার মানাবে সাগরের গর্জনকেও।

কখনও তিনি শান্ত নদী। কোনো তাড়া নেই। চলছে নীরবে। আছে, কিন্তু কেউ টের পাবে না। কখনও বা তিনি উত্তাল। সেই উত্তালতা হার মানাবে সাগরের গর্জনকেও।

হ্যাঁ, যশস্বী জয়সওয়াল তেমনই দ্বৈত এক চরিত্র। তাঁর এই চারিত্রিক দৃঢ়তা ক্রমেই তাঁর যশ খ্যাতি বাড়িয়ে দিচ্ছে দিকে দিকে। চেন্নাই হোক কিংবা পার্থে – নদীর নীরবতা হোক কিংবা সাগরের মাদকতা হোক – জয়সওয়াল সর্বরূপেই বিজয়ী হয়ে ফিরছেন বারবার।

২০২৪ সালে তিনি ছক্কাই হাঁকিয়েছেন কেবল ৩৪ টা। এটা নাকি ক্রিকেটের এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড। কে বলবে এই ছেলেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাতেখড়ির গল্পটা খুব বেশিদিনের নয়।

তিনি যার রেকর্ড ভেঙেছেন, তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ভয়ডরহীনতার শেষ কথা। যার নামেই টেস্ট ক্রিকেট দেখছে এক নয়া বিপ্লব – বাজবল! হ্যাঁ, খোদ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের রেকর্ড ভেঙে তুলকালাম বাঁধিয়েছেন জয়সওয়াল।

আবার এই রেকর্ডটাও এমন একটা ইনিংসে, যেখানে দুই ওপেনার মিলে টানা ২৫ ওভার কোনো বাউন্ডারিই হাঁকাননি। ম্যাচের পরিস্থিতি ও উইকেটের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখে গেছেন জয়সওয়াল।

মোটে দেড় বছরের টেস্ট ক্যারিয়ার। এর মধ্যেই জয়সওয়াল লম্বা দৌঁড়ের ঘোড়া হওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে ফেলেছেন। দেশের পর দেশের বাইরেও রান করাটা এখন তাঁর জন্য ছেলের হাতের মোয়া।

নি:সন্দেহে ২০২৪ সালে টেস্টের সেরা ব্যাটার এখন জয়সওয়াল। এখানে তাঁর ধারের কাছে আছেন জো রুট। জয়সওয়াল এই বয়সেই এতটা পরিণত যে তাঁর সাথে জো রুটদের তুলনা চলতে পারে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনি জো রুটদের ছাড়িয়েও যান।

Share via
Copy link