একটা জেদ পুষে রেখেছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অবশেষে সেই জেদ পারফরমেন্সের রুপে সামনে এল। সাইম আইয়ুব গড়ে ফেললেন অনবদ্য এক রেকর্ড। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে ওয়ানডেতে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক এখন সাইম আইয়ুব।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ হেরেছিল পাকিস্তান। বৃষ্টি আইনে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হওয়ার আগেই বরং পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল তারা। ব্যাটারদের বেহাল দশাই ছিল সে ম্যাচে পরাজয়ের কারণ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার সম্ভবত সাইমকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাইতো তিনি একা হাতেই প্রতিপক্ষের পরাজয় লিখে ফেললেন।
প্রথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৪৫ রান তুলতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। স্বল্প রানে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করবার কাজে সহয়তা করেছেন সাইমও। সেন উইলিয়ামসের উইকেটটি নিজের করে নিয়েছিলেন। তবে তার মূল কাজটা ছিল ব্যাট হাতে। সে কাজটা যথাযথভাবেই করেছেন তিনি। তার রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে দশ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
স্বল্প রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে একেবারে নির্ভয়ে ব্যাট চালাচ্ছিলেন সাইম আইয়ুব। অপরপ্রান্তে আবদুল্লাহ শফিকের ব্যাট চলেছে একেবারে ভিন্ন ধাঁচে। শফিক যেন স্রেফ সঙ্গ দিয়ে যেতে চাইলেন। কিন্তু সাইম চেয়েছিলেন একটা স্টেটমেন্ট দেওয়া জয় ছিনিয়ে নিতে।
তাইতো মাত্র ৫৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাইম আইয়ুব। শহীদ আফ্রিদির তিনটি দ্রুততম সেঞ্চুরির পর এটিই পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি। আফ্রিদি মাত্র ৩৭ বলে সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। এরপর একবার ৪৫ বলে ও একবার ৫৩ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছিলেন।
পাকিস্তানি ব্যাটাররাও যে আগ্রাসী ব্যাটিংটা করতে জানেন, সেটা যেন সকলেই ভুলতে বসেছিল। সাইম আবার মনে করিয়ে দিলেন। শুধু সেঞ্চুরি করেই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি। বরং ১১৩ রানের একটা দূর্দান্ত ইনিংস খেলে, দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।