অলআউট না হয়েও অসহায় আত্মসমর্পণ

টপ কিংবা মিডল অর্ডার ব্যাটারদের করুণ দশার শাস্তি যেন সহ্য করতে হয় টেলএন্ডার ব্যাটারদের।তাদেরকে উপর থেকে দেওয়ার চাপের ভার সামলাতে হয়। সুদূর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে গিয়ে ক্যারিবিয়ান পেসারদের রুদ্রমূর্তি সামলাতে হয়। 

অ্যান্টিগা টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। এই পরাজয়ের মধ্যে একটু হলেও স্বস্তি আছে। বাংলাদেশের বিশ খানা উইকেট নিতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা। একটু ব্যাঙ্গাত্মক ঠেকবে নিশ্চয়ই। এর বেশি কিছু করবারও তো উপায় নেই।

বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের দুর্দশা যেন বহমান এক নদী। শুষ্ক মৌসুমে জল শুকায়, আবার বর্ষার দিনে প্রবল বেগে নদী হয় উত্তাল। টপ কিংবা মিডল অর্ডার ব্যাটারদের করুণ দশার শাস্তি যেন সহ্য করতে হয় টেলএন্ডার ব্যাটারদের।তাদেরকে উপর থেকে দেওয়ার চাপের ভার সামলাতে হয়। সুদূর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে গিয়ে ক্যারিবিয়ান পেসারদের রুদ্রমূর্তি সামলাতে হয়।

আবার সেই তাদেরই বোলার রুপে প্রতিপক্ষের উইকেট শিকার করতে হয়। সব কাজ যেন তাদেরই। তবুও তাসকিন আহমেদরা নিজেদের দায়িত্ব পালনের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। এই যেমন অ্যান্টিগা টেস্টকেই বিবেচনায় নেওয়া যাক। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছে ২৬৯ রান। স্বাভাবিকভাবেই চতুর্থ দিনের সকালের সেশন খেলতে চায়নি বাংলাদেশ।

এর পেছনে যুক্তি আছে অবশ্য। সকাল বেলার ফায়দা তুলে নিতে চেয়েছিল। সে কাজটাও যথাযথভাবে করে দিয়েছিল বাংলাদেশের পেসাররা। তাসকিন ও শরিফুল ইসলাম প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের উইকেট তুলে নিয়েছেন বটে। এমনকি স্বল্প রানেও গুটিয়ে দিয়েছেন ক্যারিবিয়ানদের। ৩৩৩ রানের টার্গেটে জয় পাওয়ার চিন্তা হয়ত বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট করেনি।

ওই মানসিকতাই তো দলের মধ্যে সৃষ্টি হয়নি। দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করে কোন মতে ম্যাচ জিততে চায়। এমন একটা দলের কাছ থেকে টেস্টের রেকর্ড রান তাড়া করবার প্রত্যাশা করাও তো বোকামি।

কিন্তু একটা দল মোটে একটা দিনও যদি ব্যাটিং করবার সামর্থ্য না রাখে, তবে তাদের টেস্ট খেলে কাজটা কি? কাঁধের চোট নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে ১৩২ রানে।

সত্যি বলতে খালি চোখে চোট ততটাও গুরতর মনে হয়নি। শরিফুল ইসলাম অযথা আর চাপ নিতে চাননি। নিজেকে সপে দিতে চাননি ক্যারিবিয়ানদের বাউন্সারের সামনে। এতে দোষের কিছু নেই। তিনি থেকে গেলেও তো ফলাফলের আহামরি পরিবর্তন হতো না। ফলাফল পরিবর্তনের সকল দায়িত্ব তো শরিফুলদের না।

 

Share via
Copy link