নামটা পরিচিত নয়। তবে, আহমেদ শরীফের নামটা আর অপরিচিত থাকবে না। এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে ক্রিকেটাঙ্গনে তিনি নিজের নামটা বেশ দারুণ ভাবেই পরিচিত করে তুলেছেন।
সিলেটে আরও একবার আহমেদ শরীফের বৈশাখী ঝড়। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে বৈশাখী ঝড় কিভাবে সম্ভব? সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছেন আহমেদ শরীফ। কোয়ালিফায়ারের প্রথম ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে নিয়েছেন ২৬ রানের চার উইকেট। যদিও, তাঁর উইকেট ঝড়ের পরও হারতে হয়েছে চট্টগ্রামকে, বাদ পড়তে হয়েছে আসর থেকে।
শনিবার টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চট্টগ্রাম। অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বির আস্থার পূর্ণ প্রতিদান আরও একবার দিয়েছেন শরীফরা। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুলনাকে চাপে রাখে তারা। বিপজ্জনক হয়ে উঠা ইনফর্ম আজিজুল হক তামিমকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিনের উইকেটের খাতা খুলেন তিনি।
এরপর একে একে তুলে নিয়েছেন মাসুম খান, মেহেদি হাসানদের উইকেট। খুলনার হয়ে একা লড়াই করে যাওয়া নুরুল হাসান সোহানকেও আউট করে খুলনার বড় সংগ্রহের স্বপ্নে শেষ পেরেক ঠুকে দেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম ১৪৭ রানের টার্গেটটা চেজ করতে না পারায় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেন তিনি।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির অন্যতম বড় চমক চট্টগ্রামের আহমেফ শরীফ। ২০ বছর বয়সী এই পেসার আট ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে সবোর্চ্চ উইকেট শিকারী হয়েই শেষ করলেন টুর্নামেন্ট। ডান-হাতি এই পেসারের বলে গতি আর সুইং দুইটাই বেশ ধারালো। টুর্নামেন্ট এখন অবধি দুই উইকেট নিয়েছেন তিন ম্যাচে আর তিন উইকেট নিয়েছেন দুই ম্যাচে। চার উইকেটও নিয়েছেন এক ম্যাচে। ইকোনমি রেটটাও বেশ ভালো।
অথচ শরীফ কিনা নেই ২০২৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) । ৩০ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া বিপিএলে শেষ অবধি দল পাবে কি শরীফ!