বিপিএলে সবচেয়ে বেশি ধারাবাহিক কে? সাইফ হাসান, তাসকিন আহমেদ কিংবা খুশদিল শাহ নয় বরং বিপিএলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ক্রিকেটারের নামটা শফিউল ইসলাম। আপনি হয়তো হেসে উঠবেন, কিংবা অবাক হবেন তবে এটাই সত্যি। ম্যাচের পর ম্যাচ তিনি যেভাবে এক নাগাড়ে বাজে পারফরম্যান্স করে চলছেন তাতে তাঁকেই সবচেয়ে ধারাবাহিক বলতে হয়।
ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের বিপিএলে যাত্রা শুরু করেছিলেন এই পেসার, প্রথম ওভারেই দিয়েছিলেন ১৯ রান। আর সবমিলিয়ে চার ওভারে খরচ করেছেন ৪৬ রান। চিটাগং কিংসের বিপক্ষেও একই দৃশ্য, প্রথম ওভারে ২২ রান দিয়ে বসেন তিনি। এদিনও ৪৬ রান বিলিয়েছেন তিনি, তবে সেটা স্রেফ তিন ওভারেই।
আবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে শুরুর ওভারে এই ডানহাতি দিয়েছেন ১৭ রান। খুলনার সাথে অবশ্য জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে এক ওভার হাত ঘুরিয়েছিলেন তিনি, তাই তিন রান দিয়েই শেষ করতে পেরেছিলেন।
কিন্তু সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে সব অনুমান ছাড়িয়ে গিয়েছেন শফিউল, ১৮ রান দিয়ে দিনের সূচনা করেছিলেন। পরের ওভারে তুলনামূলক কম রান খরচ করলেও শেষ দুই ওভারে ৩৫ রান বিলিয়ে রেকর্ড গড়তে সহায়তা করেন লিটন দাসদের। অর্থাৎ পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, বাজে পারফরম করলেও একটা ধারা মেনে চলছেন তিনি। এখানে তাঁকে ধারাবাহিক বলাই যায়।
শফিউল নি:সন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পেসার ছিলেন এক সময়, তাঁর অর্জনও নেহায়েৎ কম নয়। কিন্তু এই ২০২৫ সালে এসে তাঁকে টানা খেলানোর চিন্তাই অবাস্তব। খ্যাপের ক্রিকেটার দিয়ে কি আর বিপিএল চলে! বাজে ফর্মের পরও তাঁকে টেনে বেড়ানোতে বরং সন্দেহই বাড়ে! অথচ মেহেদী হাসান রানার মত উদীয়মান পেসার সাইডলাইনে বসে আছে, শফিকুল ইসলাম তো কোন দলেই নেই৷ এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে আলোচিত ফাহাদ হোসেন, আহমেদ শরিফ, তোফায়েল আহমেদরা তো বিবেচনারই বাইরে ছিলেন।
শফিউল আসলে কেন খেলছেন সেই উত্তর জানা নেই কারোই। বলের গতি, লাইন লেন্থ আর ফিটনেস বিবেচনায় তাঁকে কি আর আদৌ প্রথম স্তরের বোলার বলা যায়? তারপরও কেন এত ভরসা? উত্তর দিতে পারবে কেবল দূর্বার রাজশাহী।