পাঁচ ব্যাটার, দুই পেসার, দুই স্পিনার, দুই বোলিং অলরাউন্ডারের এক বৈচিত্র্যময় ও শক্তিশালী একাদশ। ঘরোয়া ক্রিকেটে সম্ভবত এই দলটা যে কাউকে হারাতে সক্ষম। আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ স্কোয়াডে নেই এমন খেলোয়াড়দের নিয়েও তৈরি করা সম্ভব একটি বিশ্বমানের একাদশ। খেলা ৭১ বেছে নিয়েছে তেমনি এক বিকল্প একাদশ।
দলে ওপেনার হিসেবে থাকবে তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। দেশের ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের প্রায় সব রেকর্ডের একচ্ছত্র অধিপতি খান সাহেব নেই এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। গত আসরেও টুর্নামেন্টটির তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন তিনি। চার ইনিংসে ৭৩ এর উপরে গড়ে দুই ফিফটি আর এক সেঞ্চুরিতে রান করেছিলেন ২৯৩। বর্ষিয়ান এই তারকার সাথে ওপেনিংটা জমাতে পারেন আরেক প্রতিভাবান তারকা লিটন দাসও। বড় মঞ্চে নিজেকে বহুবার প্রমান করেছেন তিনি। ওয়ানডে ফরম্যাটে বর্তমানে তেমন ফর্মে না থাকলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন লিটন।
তিন নম্বর জায়গাটা ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্মার জাকির হাসানের প্রাপ্য। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রায় ৫৫ গড়ে ৫৪৯ করেছেন তিনি। ব্যাট হাতে ঝড় তুলছেন চলতি বিপিএলেও। চার নম্বর পজিশনটা অবশ্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। বোলিং করুন বা নাই করুন শুধু ব্যাটার হিসেবেই এখনও এই পজিশনটার মালিক তিনি। অধিনায়কও তিনিই।
পাঁচ নম্বর পজিশনটাতে থাকবেন নুরুল হাসান সোহান। অধিনায়কত্ব, ফিনিশিং, উইকেটকিপিং সবেতেই সর্বেসর্বা এই মুহূর্তে তিনি। যেখানেই হাত দিচ্ছেন তাই সোনায় রূপান্তর করছেন যেন তিনি। একাদশে সাকিবের ডেপুটি তিনি। তার পরেই আসবেন শামীম হোসেন পাটওয়ারী। দৃঢ় হাতে চাপ সামলানো, দ্রুত রান তোলা, দলের প্রয়োজনে কয়েক ওভার হাতও ঘোরাতে পারেন তিনি।
সাত নম্বরে থাকবেন এই মূহুর্তে সীমিত ওভার ক্রিকেটে দেশের অন্যতম সেরা স্পিনার শেখ মেহেদী। স্পিন, ভ্যারিয়েশন, ম্যাচের সিচুয়েশন বুঝে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং বা ডেথ ওভার স্পেশালিষ্ট হিসেবেও দলের অন্যতম হাতিয়ার হতে পারেন তিনি। লোয়ার এন্ডে ব্যাট হাতে অবদান রাখার পাশাপাশি পেস বোলিংয়ে ঝড় তোলার সক্ষমতা থাকা মোহাম্মদ সাইফুউদ্দিন থাকবেন আট নম্বরে।
নয় নম্বরে থাকবেন অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি অরথোডক্স স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দশ আর এগারো নম্বরে দুই পিউর পেসার শরিফুল ইসলাম আর হাসান মাহমুদ। দারুণ ছন্দে থাকলে নিজেদের দিনে সেরা তাঁরা। আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের কন্ডিশনে যারা দলের জন্য অনেক বড় এক্স ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। এই একাদশটা এতটাই শক্তিশালী যে, এখানে এবাদত হোসেন, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী রাব্বি কিংবা এনামুল হক বিজয়দের রাখা সম্ভবই হয়নি।