বছর পর বছর ধরে ব্রাজিল সেরা ফুটবল প্রতিভা তৈরি করে চলেছে। যারা ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলোতে দারুণ ভূমিকা পালন করছে। ব্রাজিলিয়ান তারকারা বিশ্বমানের ক্লাবে একের পর এক সাফল্য এনে দিচ্ছে। তাই বড় দলগুলো এখন সরাসরি ব্রাজিল থেকেই তরুণ প্রতিভা তুলে আনতে আগ্রহী।
নেইমার, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো, এবং গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির মতো খেলোয়াড়রা ব্রাজিল থেকে এসে নিজেদের দলে প্রধান খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতেই বার্সেলোনা এবং পিএসজি’র মতো বড় ক্লাবগুলো ভিটর রোকে, লুকাস বেরালদো এবং গ্যাব্রিয়েল মস্কারদোর মতো প্রতিভাকে নিজেদের দলে ভিড়িয়েছে।
অনেক তরুণ খেলোয়াড়ের চুক্তি আগেই সম্পন্ন হয়। যাতে ১৮ বছর হওয়ার সাথে সাথে তারা তাদের নতুন দলে যোগ দিতে পারে (যেমন: এন্ড্রিকের রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা)। চলুন দেখে নেওয়া যাক। ব্রাজিলের কোন কোন নতুন তরুণ রয়েছে যারা ইউরোপে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন অথবা ভবিষ্যতে যোগদান করতে পারবেন।
- এস্তেভাও (পালমেইরাস) – রাইট উইঙ্গার, বয়স:১৭
এস্তেভাওকে প্রায়ই নেইমারের সাথে তুলনা করা হয়। তার ড্রিবলিং দক্ষতা অসাধারণ। ডান প্রান্তে খেলে তিনি দারুণভাবে কেটে ভেতরে এসে গোল করার চেষ্টা করেন। তাকে ইতোমধ্যেই চেলসি ভবিষ্যতের জন্য সই করিয়ে রেখেছেন।
- লুইস গিলহারমে (ওয়েস্ট হ্যাম) – অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, বয়স: ১৯
লুইস গিলহারমে দারুণ মেধাবী খেলোয়াড়। তিনি খেলার ছন্দ বুঝে খেলেন এবং সবসময় বিপজ্জনক এলাকায় নিজেকে খুঁজে পান। তার ড্রিবলিং, ফিনিশিং এবং শারীরিক শক্তি তাঁকে একজন প্রতিভাবান মিডফিল্ডারে পরিণত করেছে।
পাবলো মায়া (সাও পাওলো) – ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার,বয়স: ২২
পাবলো মায়া মাঠ জুড়ে প্রচুর পরিশ্রম করেন এবং আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য আগ্রাসী খেলেন। তিনি বল জয়ের জন্য দক্ষ। আর্সেনাল এবং ব্রাইটনের মতো ক্লাবগুলোর আগ্রহের কারণে মনে হচ্ছে শীঘ্রই তাকে ইউরোপে দেখা যাবে।
- জন কেনেডি (ফ্লুমিনেন্স) – স্ট্রাইকার, বয়স:২২
জন কেনেডি কোপা লিবার্তাদোরেস ফাইনালে বিজয়ী গোলটি করেছিলেন। তার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস এবং গোল করার তীব্র ক্ষুধা তাকে একজন প্রতিশ্রুতিশীল স্ট্রাইকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
- রবার্ট রেনান (আল-সাবাব, জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে লোনে) – সেন্টার-ব্যাক, বয়স:২০
রবার্ট রেনান বলের উপর চমৎকার নিয়ন্ত্রণ রাখেন এবং একজন আধুনিক সেন্টার-ব্যাক হিসেবে দারুণ দক্ষ। আল-সাবাবের হয়ে ধারাবাহিক ভালো পারফর্মেন্স দিয়ে তিনি ইউরোপে যাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
- মাতেউস নাসিমেন্তো (বোটাফোগো) – স্ট্রাইকার, বয়স:২০
মাতেউস নাসিমেন্তো একজন দক্ষ স্ট্রাইকার যিনি বলের উপর চমৎকার নিয়ন্ত্রণ এবং সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সজাগ এবং দলকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেন।
- রায়ান ভিতর (ভাস্কো দা গামা) – স্ট্রাইকার, বয়স:১৮
রায়ান ভিতর একজন শক্তিশালী এবং দক্ষ স্ট্রাইকার। তার গোল করার প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি রয়েছে। শীঘ্রই বড় ক্লাবগুলো তাকে সই করার জন্য প্রতিযোগিতায় নামবে।
- ভিক্টর হুগো (গোঁজতেপে, ফ্লামেঙ্গো থেকে লোনে) – সেন্টার মিডফিল্ডার, বয়স:২০
ভিক্টর হুগো একজন অল-রাউন্ড মিডফিল্ডার যিনি আক্রমণ এবং প্রতিরক্ষার দুই ভূমিকায়ই দক্ষ। তার আক্রমণে গতি এবং বলের উপর দারুণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
এদের প্রত্যেকেই ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর জন্য বিশেষ কিছু যোগ করতে পারবে। ব্রাজিলিয়ান প্রতিভার প্রতি ভালোবাসা যেমন ছিল, তেমনি আগামীতে এই খেলোয়াড়রা বিশ্ব মঞ্চে বড় দাগ কাটবে।