বিশ্বকাপের পরই আইসিসির সবচেয়ে জমজমাট আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ধুন্ধুমার ক্রিকেটে এই আয়োজন কখনও ছাপিয়ে যায় খোদ বিশ্বকাপকেও। সেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠদের নিয়ে একটা একাদশ বানিয়েছে খেলা ৭১।
- শচীন টেন্ডুলকার (ভারত)
শচীন টেন্ডুলকার যখন যেখানে খেলতে নেমেছেন সেখানেই পারফরম করেছেন। ব্যতিক্রম হয়নি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও, ১৯৯৮ সালের আসরে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২০০০ সালেও একটা সেঞ্চুরি এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে – কাল্পনিক একাদশের ওপেনিং তাই তাঁকেই সামলাতে হবে।
- ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
শচীনের সঙ্গী হিসেবে থাকবেন ক্যারিবিয়ান দানব ক্রিস গেইল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এখনো চোখের সামনে ভাসছে, টুর্নামেন্টের ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ৫২ গড় এবং ৯০ স্ট্রাইক রেটে করেছেন সবমিলিয়ে ৭৯১ রান।
- শিখর ধাওয়ান (ভারত)
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ধারাবাহিকতার আরেক নাম শিখর ধাওয়ান। স্রেফ দশ ইনিংস ব্যাট করতে পেরেছেন তিনি, আর তাতেই তাঁর মোট সংগ্রহ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৭০০ রানের গন্ডি। সেঞ্চুরি এবং হাফসেঞ্চুরি আছে সমান তিনটি করে।
- কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)
লঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা আছেন এই একাদশের মিডল অর্ডার সামলানোর দায়িত্বে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রায় ৪০ গড়ে ৬৮৩ রান করেছেন। যদিও তাঁর সামর্থ্য প্রমাণে পরিসংখ্যানের প্রয়োজন পড়ে না।
- জ্যাক ক্যালিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
ওয়ানডে ফরম্যাটে সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসকে না রাখলে অপূর্ণ থেকে যাবে এ একাদশ। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বল হাতে ২০ উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৬৫৩ রান করেছিলেন তিনি – এককথায় অবিশ্বাস্য বটে।
- মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত) – অধিনায়ক ও উইকেরক্ষক
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে থাকবে আর্মব্যান্ড। সেই সাথে উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতেও দাঁড়াবেন তিনি; সংখ্যা দিয়ে অবশ্য তাঁর ইম্প্যাক্ট বোঝা যাবে, সেটা বুঝতে মাঠে তাঁর খেলাটা দেখতে হবে।
- সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)
বিশ্ব সেরাদের মাঝে একমাত্র সাকিব আল হাসানই বাংলাদেশের পতাকা বয়ে নিয়ে যান, এখানেও একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে আছেন তিনি। নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডারের মতনই ব্যাটে-বলে পারফরম করে তিনি রাঙিয়ে রেখেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচগুলো।
- শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)
লোয়ার মিডল অর্ডারে শহীদ আফ্রিদির থাকাটা প্রতিপক্ষের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁর পারফরম্যান্সও বেশ ইম্প্যাক্টফুল। তাই তো সাকিব, ক্যালিসদের পাশাপাশি জায়গা পেলেন তিনিও।
- মুত্তিয়া মুরালিধরন (শ্রীলঙ্কা)
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে স্পিনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী মুত্তিয়া মুরালিধরন। আর এই টুর্নামেন্টে তাঁর বোলিং ইকোনমি চারেরও নিচে!
- গ্লেন ম্যাকগ্রা (অস্ট্রেলিয়া)
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাত্র ১২ ম্যাচ খেলেছেন, তাতেই গ্লেন ম্যাকগ্রা কাঁপিয়ে দিয়েছেন ব্যাটারদের হৃদয়। ১২ ম্যাচে ২১ উইকেট, বোলিং ইকোনমি মাত্র চার – প্রসঙ্গ যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তখন ম্যাকগ্রা সবার সেরা।
- জেমস অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড)
সাদা বলে জেমস অ্যান্ডারসন কিংবদন্তিসুলভ কিছু না করলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁর রেকর্ড এককথায় দুর্দান্ত। ম্যাকগ্রার মতই ১২ ম্যাচ খেলে ২১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি – সেজন্যই লাসিথ মালিঙ্গা, ব্রেট লি দের পিছনে ফেলে একাদশে ঢুকেছেন তিনি।