ছক্কা মারতে পটু বলেই নাম তার ছক্কা নাঈম। নাঈম ইসলাম বহুদিন বাদে নিজের চেনা রুপের ছবি আঁকলেন সাগরিকার বুকে। ব্যাটে-বলে পারফরম করে তিনি চট্টগ্রাম কিংসকে এনে দিলেন দূর্দান্ত জয়। অভিজ্ঞতার ঝুলি খুলে বসেছিলেন তিনি দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে।
এদিন তরুণ পারভেজ হোসেন ইমনকে একাদশে রাখেনি চট্টগ্রামের টিম ম্যানেজমেন্ট। তার পরিবর্তে ওপেনিংয়ে হাজির হলেন নাঈম ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট খেলা এই সেনানি বেশ ভালভাবেই সামলে নিলেন সেই দায়িত্ব। শুরুতেই ইনফর্ম ব্যাটার উসমান খান ফিরে গেলেন প্যাভিলিয়নে।
এরপর আরেক বিদেশি পারফরমার গ্রাহাম ক্লার্কের সাথে জুটি বাঁধেন নাঈম। প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেওয়ার দায়িত্বটা পালন করেন বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটার। ৮৪ রানের সেই জুটিতেই বড় রানের ভীত গড়ে চট্টগ্রাম। সেই যাত্রা পথে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ব্যক্তিগত প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নাঈম।
তিনটি বিশাল ছক্কার মার এসেছে তার ব্যাট থেকে। ছক্কা হাঁকানোর দারুণ দক্ষতা রয়েছে তার। সে কারণেই তো আদর করে সবাই তাকে ছক্কা নাঈম বলে। এছাড়াও পাঁচটি চারের মার মেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তিনি তো কেবলই ব্যাটার নন। অলরাউন্ডার সত্ত্বাকে দূরে সরিয়ে তিনি রাখলেন না।
বল হাতেও আঘাত হানলেন দুর্বার রাজশাহীর দুর্বল ব্যাটিং দূর্গে। দুইটি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। মার্ক দেয়াল ও তাসকিন আহমেদের উইকেট গিয়েছে নাঈমের পকেটে। নামের ভারে অন্তত বড়সড় ব্যাটারের উইকেট তিনি পাননি, কিন্তু বোলিংটা করেছেন দূর্দান্ত।
তিন ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। অফ স্পিনে প্রতিপক্ষকে রান করবার খুব একটা সুযোগই দেননি। মাত্র ছয়টি রান ব্যয় হয়েছে তার করা ওভারগুলোতে। তাতে করে চট্টগ্রামের বিশাল জয় হয়েছে ত্বরাণ্বিত। নাঈমের অলরাউন্ডিং পারফরমেন্সের শেষভাগে দূর্দান্ত এক ক্যাচও সংযুক্ত হয়েছে।
মোহর শেখের আকাশপানে খেলা শটের পরিসমাপ্তি ঘটে নাঈমের হাতে। সব মিলিয়ে দলের দারুণ জয়ে তিন ইউনিটেই অবদান রেখেছেন নাঈম ইসলাম। বহুদিন বাদে পরিপূর্ণ ক্রিকেটার নাঈমের একটা ঝলক দেখা গেল একাদশ বিপিএলে।