আই অ্যাম প্রাউড টু বি অ্যাট বার্সা অ্যান্ড প্রাউড অব দিস টিম। আই ক্যান কিল অর ডাই ফর দিস স্কোয়াড – বার্সেলোনার প্রতি রাফিনহার ভালবাসা কতটা গভীর সেটা নিয়ে এরপর আর সন্দেহ থাকার উপায় নেই। দলের জন্য তিনি মরতে পারেন, মারতে পারেন – এমন সরল স্বীকারোক্তি সত্যিই মন ভাল করে দেয়ার মতন।
এই উইঙ্গার কেবল মুখে বড় বড় কথা বলেন তা কিন্তু নয়। যেভাবে তিনি ব্লাউগানা জার্সির প্রতি নিজের প্রেম প্রকাশ করেছেন ঠিক সেরকম মাঠেও করে দেখিয়েছেন। তাঁর ডেডিকেশন, প্যাশন আর হার মানতে না চাওয়ার প্রচণ্ড ইচ্ছে বাকিদের চেয়ে আলাদা করেছে।
এই যে বেনফিকার বিপক্ষে ম্যাচটা, ৩০ মিনিটের সময়েই তো ৩-১ গোলে পিছিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। তাছাড়া ৭৫ মিনিটের বেশি সময় পর্যন্ত ৪-২ গোলে পিছিয়ে ছিল তাঁরা – অথচ একটাবারের জন্য হেরে গেছি এই মানসিকতা দেখা যায়নি রাফিনহার কাছে।
উল্টো ম্যাচের একেবারে শেষ পর্যন্ত সমানতালে বল নিয়ে দৌড়েছেন, প্রতিপক্ষের জাল ছিঁড়ে দলকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর অসীম সাহসের পুরষ্কার হিসেবেই বোধহয় ট্রুবিন ওমন করে ভুল করেছিলেন হৃদয়, বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো বল গিয়ে মাথায় লাগে। এরপর তো গোলই।
যদিও শিরোনাম দখলে নিয়েছে এই ব্রাজিলিয়ানের দ্বিতীয় গোলটা। ৯৬ মিনিটে জয়সূচক গোল করাটা যেকোনো বিচারে দুর্ধর্ষ একটা ব্যাপার, কিন্তু রাফিনহা সেটাকে শৈল্পিক রূপ দিয়েছে। তাতেই সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাঁর গোলসংখ্যা বিশের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। সেই সাথে অ্যাসিস্ট আছে নয়টা – অর্থাৎ মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় ত্রিশে গোলে অবদান রেখেছেন তিনি।
জাভির অধীনে এই তারকা ছিলেন দলের বোঝা। অথচ হ্যান্সি ফ্লিকের স্কোয়াডে তিনিই সর্বেসর্বা। বিশেষ করা অধিনায়কত্ব আর আর্মব্যান্ড পাওয়ার পর থেকেই তিনি অনেক বেশি সিরিয়াস। এককথায় বলতে গেলে, বার্সেলোনার জন্য আশীর্বাদ তিনি – এবার আশীর্বাদে ভর করেই চ্যাম্পিয়ন হতে হবে আমাদের।