জুলিয়ান আলভারেজ, নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত অগ্নিশিখা

আপনার দল পিছিয়ে আছে এক গোলে, সতীর্থ লাল কার্ড হজম করে ফিরে গিয়েছে ড্রেসিংরুমে - ঠিক কতটা চাপ তখন আপনি অনুভব করবেন? উত্তরটা অবশ্য জানা সম্ভব নয়, জুলিয়ান আলভারেজ নিজে কেমন বোধ করেছিলেন সেটাও জানা সম্ভব নয়। তবে এমন পরিস্থিতিতে তিনি কি করতে পারেন সেটা ঠিকই জেনে গিয়েছে পুরো ফুটবল বিশ্ব।

আপনার দল পিছিয়ে আছে এক গোলে, সতীর্থ লাল কার্ড হজম করে ফিরে গিয়েছে ড্রেসিংরুমে – ঠিক কতটা চাপ তখন আপনি অনুভব করবেন? উত্তরটা অবশ্য জানা সম্ভব নয়, জুলিয়ান আলভারেজ নিজে কেমন বোধ করেছিলেন সেটাও জানা সম্ভব নয়। তবে এমন পরিস্থিতিতে তিনি কি করতে পারেন সেটা ঠিকই জেনে গিয়েছে পুরো ফুটবল বিশ্ব।

একজন কম নিয়েই বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের মহাকাব্য লিখেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। একাই দুই গোল করে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন তিনি, সেই সাথে বুঝিয়ে দিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে আসার সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক ছিল।

ম্যাচের পর ম্যাচ সাইডবেঞ্চে বসে থাকতে হতো এই স্ট্রাইকারকে। গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে তাঁকে বিবেচনাতেই আনতে চাইতে না কোচ পেপ গার্দিওলা; অথচ ক্লাব বদলানোর সাথে সাথে বদলে গিয়েছে দৃশ্যপট। এখন তিনিই অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের মেইনম্যান, তাঁর কাঁধে বন্দুক রেখে পাখি শিকার করেন দিয়েগো সিমিওনে।

স্পেনে পাড়ি জমানোর পর অনেক ম্যাচেই মনে রাখার মত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন আলভারেজ। তবে লেভারকুসেনের বিপক্ষে ম্যাচটা স্মৃতির ভান্ডারে ওপরের দিকে থাকবে। বিরতির ঠিক আগে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারীরা, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর এক জোড়া পায়ের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছে তাঁরা।

৫২ মিনিটের মাথায় অ্যান্টনি গ্রিজম্যানের পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোল আদায় করে নেন বিশ্বকাপজয়ী তরুণ। জয়সূচক গোলের জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হয়েছে, নব্বই মিনিটের সময় আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ – অ্যাঞ্জেল কোরেরার কাটব্যাক থেকে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন তিনি।

তাতেই পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয় স্প্যানিশ ক্লাবটির, এর মধ্য দিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে আসলো তাঁরা। আর এর পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান নিশ্চিতভাবেই আলভারেজের; ইতোমধ্যে ছয় গোল করেছেন তিনি, দলের পক্ষে যা কি না চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ।

Share via
Copy link