সময় বদলে দিতে জানেন বরুণ চক্রবর্তী

একটা ওভার, ব্যাস বদলে গেল ম্যাচের মোমেন্টাম। আর মোমেন্টাম পাল্টে ফেলা সেই মানুষটা হলেন বরুণ চক্রবর্তী।

একটা ওভার, ব্যাস বদলে গেল ম্যাচের মোমেন্টাম। আর মোমেন্টাম পাল্টে ফেলা সেই মানুষটা হলেন বরুণ চক্রবর্তী। অষ্টম ওভারে তিনি এক বলের ব্যবধানে বোল্ড করেন হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোনকে। ব্যস, ম্যাচটা মোড় নিল ভারতের দিকে।

বরুণ মানেই রহস্য। আর সেই রহস্য ভেদ করার সাধ্য ইংল্যান্ডের হয়নি। শুরুতে সুই্যং দিয়ে আর্শদ্বীপ সিং চমকে দিলেও ইডেন গার্ডেনের উইকেট ছিল বেশ মন্থর। সেই সুযোগটা ভালভাবেই কাজে লাগিয়েছেন বরুণ

জশ বাটলারের সাথে হ্যারি ব্রুকের পার্টনারশিপ তখন দাঁড়িয়ে গেছে। আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন সফরকারীরা! ওই সময় আঘাত হানেন বরুণ। ওই পার্টনারশিপটা ভারতের জন্য বিপদের কারণ হতে যাচ্ছিল। সেটা আর হতে দেননি বরুণ। এখানেই তাঁর স্বার্থকতা।

উইকেট মন্থর হওয়ার পরও ইংল্যান্ডের রান তোলার গতি অন্তত ১৬০ করার মত ছিল। চাইলে শেষের দিকে হাত খোলার সুযোগ থাকলে সেটা ১৭০ হতে পারত। কিন্তু, সেখানেও যথারীতি বরুণ রহস্যের আগমণ।

ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন জশ বাটলার। হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। চার-ছক্কায় ইংল্যান্ডের ইনিংস বড় করে ফেলছেন। সেই সময় ডিপ মিড উইকেটে জশ বাটলারকে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন বরুণ। বাতাসে ভাসিয়ে শটটা খেলেই বাটলার বুঝেছিলেন, এবার আর তাঁর রক্ষা নেই। এক রাশ বিরক্তি আর হতাশা নিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডের যতটুকু সম্ভবনা ছিল – সেটা সেখানেই শেষ। কৃতিত্ব এখানে যতটৃুকু ইডেনের উইকেটের, ততটুকুই বরুণ চক্রবর্তীর।

Share via
Copy link