এক শর্মার অবর্তমানে আরেক শর্মার তাণ্ডব হল ইডেন গার্ডেন্সে। মার্ক উডের ১৫০ কিলোমিটার গতির বল। অন্য যেকোন ব্যাটার খাবি খাবেন। কিন্তু অভিষেক শর্মা ফাইন লেগ দিয়ে কব্জির মোচড়ে অসাধারণ ছক্কা হাঁকালেন। একজন ব্যাটারের স্বর্ণালী সময়ে যা কিছু করতে চান, সে কথা শুনতে বাধ্য তার ব্যাট। অভিষেকের ব্যাট তার শরীরেরই এক অংশ।
কি অবলীলায় তিনি শট চালান! উইকেটের চারিদিকে বাউন্ডারি হাঁকাতে দেখান মুন্সিয়ানা। ইংল্যান্ডের পেসারদের গতির সামনে দাঁড়িয়ে ভারতের নতুন দিনের গান আরও একবার শোনালেন অভিষেক।
মাত্র ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন বা-হাতি এই ব্যাটার। ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের অন্যতম সেনানি এই অভিষেক। রোহিত শর্মার শূন্যস্থান তিনি কোনভাবে অনুভূত হতে দিচ্ছেন না। রোহিতের মত ফিয়ারলেস ব্যাটিং করেন অভিষেক। মনের ইচ্ছে অনুযায়ী শট চালান বাইশ গজে। রোহিতের আগ্রাসী মনোভাব ভারতের বহু জয়ের ভীত গড়ে দিয়েছিল।
এবার সেই ভীত গড়ছেন অভিষেক। সর্বসাকুল্যে ১৩২ রান নিতে সক্ষম হয়েছে ইংল্যান্ড। অভিষেকের জন্যে এই লক্ষ্যমাত্রা মামুলি বটে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিনি ছিলেন দূর্দান্ত ফর্মে। টিম ইন্ডিয়া জার্সি গায়ে চাপের কোন ছাপ নেই তার চোখে-মুখে। ব্যাটিংটা স্রেফ উপভোগ করেন তিনি।
কলকাতার মন্থর গতির উইকেটেও মারকাটারি ব্যাটিংটা করে গেলেন। বলকে বাউন্ডারি ছাড়া করতেই যেন তার সকল আনন্দ। ৩৪ বলে ৭৯ রানের ইনিংসটিতে আটটি ছক্কায় বলকে পাঠিয়েছেন সীমানার ওপারে। পাঁচখানা চারও মেরেছেন ২৩৩ স্ট্রাইকরেটে।
তবুও আউট হয়ে হতাশায় ডুবেছেন অভিষেক। দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। এই ক্ষুধাই অভিষেকদের নিয়ে যায় উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে।