মাদ্রিদ ডার্বির আগে রেফারি নিয়ে বিতর্ক চরমে পৌঁছেছিল; এস্প্যানিওলের বিপক্ষে ১-০ গোলের হারের পর রেফারি নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেটা নিয়ে তাঁদের খোঁচা দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। শুধু তাই নয়, ম্যাচের আগে রেফারিদের প্রতি সমর্থন দেখিয়ে আবারো রিয়ালকে বিদ্রুপ করে তাঁরা।
এই যখন অবস্থা তখন আগুনে ঘিঁ ঢাললেন ম্যাচ রেফারি সিজার সোটো৷ অরেলিয়ান শুয়েমেনির পা লেগে স্যামুয়েল লিনো পড়ে যেতেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়ে বসেন তিনি; কার্লো আনচেলত্তি তো বটেই ধারাভাষ্যকাররাও অবাক হয়েছেন এমন সিদ্ধান্তে। কেননা ট্যাকেলের আগেই বল লিনোকে ছাড়িয়ে চলে গিয়েছিল।
অবশ্য স্পটকিকের সুবিধা নিতে ভুল হয়নি অ্যাটলেটিকোর, ইনফর্ম জুলিয়ান আলভারেজ একেবারে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়েছেন। থিবো কোর্তোয়ার মত বিশ্বসেরা গোলরক্ষকের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে পানেনকা শট নেয়ার দু:সাহস দেখিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে চলতি মৌসুমে ১৬ গোল পূর্ণ হলো তাঁর, আর এই গোলে লিড পায় সিমিওনের দল।
যদিও সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখা সম্ভব হয়নি, বিরতি থেকে ফিরেই উড়তে কিলিয়ান এমবাপ্পে সমতায় ফেরান লস ব্ল্যাঙ্কোসদের। তাতে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা রবার্ট লেওয়ানডস্কির সঙ্গে তাঁর ব্যবধান কমে দুইয়ে নেমে এলো।
সমতায় ফিরে স্বাগতিকরা হয়ে উঠে আরো হিংস্র, আরো আক্রমণাত্মক। দুই উইংয়ে রদ্রিগো এবং ভিনিসিয়াস, মাঝখানে এমবাপ্পে, বেলিংহ্যাম একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি, বেলিংহ্যামের একটা হেডার গোলপোস্টে লেগে ফিরে এসেছিল। এছাড়া ইয়ান অবলাক অন্তত দুইটা নিশ্চিত গোল ফিরিয়েছেন।
মাদ্রিদ ডার্বি শেষ হয়েছে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে, টেবিল টপারদের লড়াইয়ে কেউ না জিতলেও বার্সেলোনা ঠিকই জয়ের আনন্দ পাচ্ছে। পরের ম্যাচ জিতলেই তো শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদকে হাতের নাগালে পেয়ে যাবে তাঁরা।