বাবর আজম এখন টক অব দ্য টাউন; তবে ইতিবাচক কারণে নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অদ্ভুত একটা ইনিংস খেলেছেন তিনি। সে কারণে সমালোচনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে তাঁর উপর।
মান্ধাতা আমলের অ্যাপ্রোচে ব্যাটিং করায় তাঁকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সবাই। তবে এমনটা নতুন নয় কিন্তু, খেলা-৭১ খুঁজে বের করেছে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেটে খেলা বাবরের কয়েকটি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস।
- ৬৯* (১০১) – বনাম শ্রীলঙ্কা
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলা শিখিয়েছিলেন বাবর আজম। শারজাহর স্লো উইকেটে তিনি ফিফটি করেছিলেন সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেটে, সংখ্যাটা ৬৮.৩১! যদিও সমালোচনার বদলে প্রশংসা মিলেছিল তখন; পরিস্থিতি বিবেচনায় ম্যাচ নির্ধারনী ইনিংস ছিল সেটা। তাই তো ম্যাচসেরাও হয়েছিলেন তিনি।
- ৭৯ (১১৪) – বনাম নিউজিল্যান্ড
২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ সময় পার করেছিলেন বাবর। তবে বছরের শুরুতে তিনি খেলেছিলেন কচ্ছপ গতির এক ইনিংস। প্রতিপক্ষের ছুঁড়ে দেয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬৯.৩০ স্ট্রাইক রেটে রান করেন তিনি। তবে সতীর্থরা আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত না হলে এই ইনিংসটাও বোধহয় ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্সের ট্যাগ পেতো।
- ৬০ (৮৬) – বনাম আফগানিস্তান
২০২৩ সালেই আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে আরেকটা ধীরগতির হাফসেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন এই ডানহাতি। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়ার পথে ৬৯.৭৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছিলেন তিনি। যদিও রিজওয়ান নিজে প্রায় ৮৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছিলেন সেসময়।
৬৬ (৯৪) – বনাম আফগানিস্তান
একই প্রতিপক্ষ, তবে ছয় বছর আগের কথা। ২০১৮ এশিয়া কাপে ২৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭০.২১ স্ট্রাইক রেটে রান তোলেন পাক তারকা। এই কারণেই ম্যাচ গড়িয়েছিল শেষ ওভার পর্যন্ত, ভাগ্য সহায় না হলে পাকিস্তান অবশ্য হেরেও যেতে পারতো।
- ৬৪ (৯০) – বনাম নিউজিল্যান্ড
তালিকার পাঁচ নম্বরে আছে সবশেষ ম্যাচের বিতর্কিত ব্যাটিং। স্বার্থপরতার সব সীমা বোধহয় ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন বাবর, ৩২১ রানের পাহাড় সামনে রেখে তাঁর ব্যাটে এসেছে একের পর এক ডট। সালমান আঘা, খুশদিল শাহ আক্রমণাত্মক খেললেও অন্য পাশ থেকে আস্কিং রান রেট বাড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। নিঃসন্দেহে ৭১.১১ স্ট্রাইক রেটে খেলা ইনিংসটা তাঁর ক্রিকেট জীবনের অন্যতম কলঙ্ক হয়ে থাকবে।