বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচের ব্রডকাস্টিংয়ে ছিল না স্বাগতিক পাকিস্তানের নাম, ব্রডকাস্টের বাম দিকের উপরের অংশে ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫’ লেখা দেখানো হলেও পাকিস্তানের নাম সেখানে লেখা হয়নি। অথচ এর আগে উদ্বোধনী ম্যাচে সব কিছু ঠিকই ছিল। আবার পরের ম্যাচে অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচে স্বাগতিক দেশ হিসেবে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবেই এতে ক্ষেপেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠিও দিয়েছে তাঁরা। তাঁদের দাবি, টুর্নামেন্টের আয়োজক হিসেবে প্রতিটা ম্যাচই তাঁদের অধীনে আয়োজিত হচ্ছে। তাই খেলা পাকিস্তানের মাটিতে হোক কিংবা আরব আমিরাতে, স্বাগতিক হিসেবে তাঁদের নাম অবশ্যই রাখতে হবে।
যদিও আইসিসি ব্যাপারটাকে এত গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে নারাজ, চিঠির উত্তরে তাঁরা জানিয়েছে এটা স্রেফ ব্রডকাস্টিংয়ের ভুল। টেকনিক্যাল সমস্যার কারণেই এমনটা হয়েছে; এর সঙ্গে ভারতের ম্যাচ কি না কিংবা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা হচ্ছে এসবের কোন সম্পর্ক নেই।
তবে আইসিসির এমন ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি পিসিবি; যুক্তরাজ্য ভিত্তিক কোম্পানি সানসেট এন্ড ভাইন আইসিসির তত্ত্বাবধানে গ্রাফিক্সের কাজ করেছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই যে ডেমো গ্রাফিক্স তৈরি করা হয়েছিল সেখানে পাকিস্তানের নাম ছিল স্বাগতিক দেশ হিসেবে। কিন্তু সব হিসেব এলোমেলো হয়ে গিয়েছে ভারতের প্রথম ম্যাচে।
তবে ভবিষ্যতে আর কোন ম্যাচে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না সেটার নিশ্চয়তা আইসিসি দিয়েছে। যে মাঠেই ম্যাচ হোক ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫’ ট্যাগের সঙ্গে পাকিস্তান লেখা থাকবে। ভারতের পরের ম্যাচটাই অবশ্য বাবর আজমদের বিপক্ষে, কোটি মানুষের চোখ থাকবে ওই একটা ম্যাচের দিকে। এখন দেখার বিষয়, গ্রাফিক্সের ভুল শুধরানো হয় কি না।
এর আগে ভারতীয় দল সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় পাকিস্তান ভ্রমণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। বাধ্য হয়ে আরব আমিরাতে তাঁদের ম্যাচ আয়োজন করে পিসিবি, এবং এর পরিবর্তে তাঁরা আগামী তিন বছর কোন টুর্নামেন্ট খেলতে ভারত সফর করবে না এমন শর্ত দিয়েছে।