২০২১ সালে একরকম হুট করেই টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পান আজিঙ্কা রাহানে, তার উপর ইনজুরিতে দলের অবস্থা তখন বিধ্বস্ত। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি, ক্যারিশম্যাটিক কাপ্তানিতে অবিশ্বাস্য এক উপহার এনে দিয়েছিলেন। তাঁর অধীনে ভারত জয় করেছিল দূর্ভেদ্য গ্যাবা দূর্গ।
সেই ইতিহাসের চার বছর পর আবারো কোন দল ভরসা রাখলো রাহানের ওপর, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবারের আইপিএলের জন্য আর্মব্যান্ড তুলে দিলো তাঁর হাতে। গুরু দায়িত্ব, সন্দেহ নেই কিন্তু কলকাতা আসলে ভুল মানুষকে বেছে নেয়নি। বরং বুঝেশুনে ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়েছে।
চেন্নাই সুপার কিংসে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নতুন করে শুরু করেছিলেন এই ডানহাতি। মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁকে ব্যবহার করেছিলেন সম্ভাব্য সেরা উপায়ে; সাহসী, সুন্দর কিছু ইনিংস এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। তবু কলকাতার অধিনায়ক হয়েছেন তিনি, সেই খবরে ভ্রু কুঁচকেছেন অনেকেই, কেউ আবার ফোঁড়ন কেটেছেন।
তবে আইপিএলটাই তো বাজি, আউট অব দ্য বক্স সিদ্ধান্ত নিয়েই এখানে জিততে হয়। কলকাতা তাই বাজি ধরেছে দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ওপর। তিনি অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবেন কি না সেটাই এখন প্রশ্ন; তবে স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কি? চেন্নাইয়ের জার্সিতে ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন রাহানে – আরো একবার কি বিস্ময় আঁকতে পারবেন তিনি? ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে দপ করে জ্বলে উঠতে পারবেন?
উত্তর তো সময়ের হাতে, পুরো আসরে তাঁকে অধিনায়ক রাখা হয় কি না সেটাও জানা বাকি। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত, রাহানে চেষ্টা করবেন। নিজের সবটুকু দিয়ে তিনি আগলে রাখতে চাইবেন কলকাতাকে। শিরোপা ধরে রাখতে লড়বেন সর্বোচ্চ দিয়েই।
আত্মবিশ্বাস আর লড়ে যাওয়ার মানসিকতা ব্যবধান গড়ে দেয় মাঠে। ধোনির অধীনে খেলার পর রাহানের এসব গুণে আরো সমৃদ্ধ হয়েছেন। চেন্নাইয়ের জার্সিতে রান পান কিংবা না পান সবসময় চেষ্টা করেছিলেন তিনি। প্রতিটা শটে ফুটে উঠেছিল তাঁর ডেডিকেশন – তাঁকে ঠিক এভাবেই দেখার অপেক্ষায় আছে সমর্থকেরা।
এখন দেখার বিষয়, রাইডার্সদের কত দূরে নিয়ে যেতে পারেন এই তারকা। ২০২১ সালের মত কোন রূপকথা সৃষ্টি করবেন তিনি? জানতে হলে চোখ রাখতে হবে।