শাদাব খান সম্ভবত আরেকবার বুঝিয়ে দিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাকে দলে না নেওয়া ছিল পাকিস্তানের ভুল সিদ্ধান্ত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ঝড়ো একটা ইনিংস খেললেন শাদাব। তিনি প্রমাণ করলেন তাকেই প্রয়োজন পাকিস্তান দলে। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন?
সোজাসাপ্টা উত্তর হচ্ছে তিনি কার্যকর অলরাউন্ডার। কুইক ফায়ার ইনিংস খেলতে পারদর্শী তিনি। মিডল অর্ডারের শেষভাগে পাকিস্তানের একজন আগ্রাসী ব্যাটার প্রয়োজন। স্বল্প সময়ের ঝড় তোলার জন্যে শাদাব খানের জুড়ি মেলা ভার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১৪ বলে ২২ রান তুলেছেন শাদাব। এই ছোট্ট দৈর্ঘ্যের স্বল্প রানের ইনিংসটি পাকিস্তানকে মোটামুটি একটা পুঁজি এনে দিয়েছে। যদিও পরাজয়ই হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গী। তবে ফিনিশার রোলে শাদাবের থেকে ভাল বিকল্প এই মুহূর্তে নেই পাকিস্তান দলে।
তাছাড়া তিনি স্রেফ লেগ সাইড নির্ভর খেলোয়াড় নন। রান করার জন্যে উইকেটের চারিদিকেই শট খেলতে পারেন। দূর্বলতা আছে খুব সামান্যই। তবে তাকে বেশ হিসেব কষে ব্যবহার করতে হবে পাকিস্তানের। তিনি প্রতিদিন রান করতে পারবেন না- তাকে সেই ছাড়টুকু দিতেই হবে।
তাছাড়া বল হাতে শাদাব একজন উইকেট শিকারি। তাকে দিয়ে ডেথ ওভার বোলিং করানোটাও বোকামি। মিডল ওভারে তিনি ব্রেকথ্রু এনে দিতে পারবেন, উইকেট তুলে পাকিস্তানের পক্ষে ম্যাচকে টেনে নিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু পাওয়ার প্লে ও ডেথ ওভারে তিনি খুব একটা কার্যকর হবেন না। সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাকে বোলিংয়ে আনা হয়েছে ১২ তম ওভারের সময়। তখন ম্যাচ হেলে গেছে ব্ল্যাকক্যাপসদের দিকে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২৪ বলে ২৩ রানের সমীকরণ যেকোন দল মিলিয়ে ফেলবে অনায়াসে। সেই মুহূর্তে শাদাবের করণীয় কিছু থাকে না। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়া মাত্রই শাদাবকে ব্যবহার করা গেলে তাকে পাকিস্তানের জন্যে কিঞ্চিৎ হলেও উপকার বয়ে নিয়ে আসতে পারত।
মোদ্দা কথা শাদাব খানকে পাকিস্তান জাতীয় দলের সাদা বলের ক্রিকেটে প্রয়োজন। তবে প্রত্যাশার পাহাড় চাপিয়ে যত্রতত্র ব্যবহারে হিতে-বিপরীত হতে পারে। তখন হয়ত আবারও গলার কাটায় পরিণত হতে পারেন শাদাব খান।