অদম্য বার্সেলোনার অপ্রতিরোধ্য গোল উৎসব

আপাদমস্তক বার্সেলোনা হয়ে উঠেছে ভয়ংকর। এমন কম্প্যাক্ট একটা দল প্রতিপক্ষকে নিয়ে ছেলেখেলা করবে না তো আর করবেই বা কোন দল!

জুলস কুন্ডের চুল টেনে ধরলেন করিম আদেইয়েমি। আর সেই মুহূর্ত থেকেই খুলে যায় গোলের দুয়ার। হেসে খেলে বার্সেলোনা সহজ জয়। লামিন ইয়ামালদের দাপট বুরুশিয়া ডর্টমুণ্ডকে গুণে গুণে চার খানা গোল দিয়েছে অদম্য বার্সেলোনা। চুল টেনেও তাদের থামানোর উপায় নেই।

আপাদমস্তক বার্সেলোনা হয়ে উঠেছে ভয়ংকর। হাই লাইন ডিফেন্সের সাথে, মধ্যমাঠে ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং, পেদ্রি, ফার্মিন লোপেজদের সৃজনশীলতা। সেই সাথে লামিন ইয়ামাল নামক বিস্ময় বালকের ম্যাজিক, অভিজ্ঞ রবার্ট লেওয়ান্ডস্কি তো ওল্ড ওয়াইন। এই দুইয়ের সাথে তাল মিলিয়ে রাফিনহা অনবদ্য।

এমন কম্প্যাক্ট একটা দল প্রতিপক্ষকে নিয়ে ছেলেখেলা করবে না তো আর করবেই বা কোন দল! লেওয়ান্ডস্কি এই মৌসুমের ৪০ খানা গোল করে ফেলেছেন। রাফিনহার গোল ও অ্যাসিস্ট সংখ্যা স্রেফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই ১৯টি। যৌথভাবে তিনি বসে আছেন লিওনেল মেসির সাথে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে এগিয়ে আছেন স্রেফ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

অন্যদিকে বা-পায়ের কারিকুরিতে মুগ্ধতা ছড়ানোর পাশাপাশি গোল করতেও মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন ১৭ বছরের ছোকড়া লামিন। আর এই তিনজনের কাছেই তো পরাজয়ের গ্লানি উপহার হিসেবে সফরকারী ডর্টমুন্ড। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ থেকে, গোছানো আক্রমণ সব দিক থেকেই বার্সেলোনা ছিল এগিয়ে।

যদিও ডিফেন্স চিড়ে বেশ ক’বার জটলা হয়েছিল কাতালান রক্ষণে। কিন্তু জার্মান হলুদ ব্রিগেড মেতে উঠেছিল গোল মিসের উৎসবে। আক্রমণের শেষভাগে গিয়ে শিশুশুলভ ভুল করেছেন গুইরাসিরা। তাতেই বরং অক্ষত থেকেছে বার্সেলোনার গোলবার। আবার মাঝে মধ্যে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বার্সার অফসাইড ফাঁদ।

রাফিনহা, লামিন এবং লেওয়ান্ডস্কির জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল ২০১৪/১৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা। দীর্ঘ এক দশক পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রুপালি শিরোপা যেন ডাকছে বার্সেলোনাকে। এবারই যে তাদের সুবর্ণ সুযোগ।

Share via
Copy link