টসের সময় হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। কিন্তু, গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমান গিল তখন অন্যদিকে তাকিয়ে—মুহূর্তটা যেন হঠাৎ থমকে যায়। মুম্বই-গুজরাট ম্যাচের শুরুতেই যে অস্বস্তির সূচনা, তা কি শুধু টসের ভুল বোঝাবুঝি, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে নতুন এক দ্বৈরথের আগুন?
ক্যামেরা তখন ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিমায় ধরছিল দুই অধিনায়ককে। কেউ কিছু বলেনি, কিন্তু চোখে-মুখে ছাপ ছিল স্পষ্ট। তারপর ম্যাচ শুরু হয়। প্রথম ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন শুভমান গিল। সেলিব্রেশনে ফেটে পড়েন হার্দিক। যেন কোনও ব্যক্তিগত প্রতিশোধের রেশ! এমনকি মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়েও দেখেন না গিলকে। সেই মুহূর্তেই ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠে প্রশ্ন — ‘এটা কি নতুন দ্বৈরথের সূচনা?’
ম্যাচে গতির সাথে ব্যক্তিত্বের সংঘাত, পুরনো টানাপোড়েনের ধোঁয়াশা – সব চাপা পড়ে গিয়েছিল। হার্দিকের গুজরাট ছেড়ে মুম্বাইয়ে ফেরা, গুজরাটের নতুন নেতা শুভমান—সব মিলিয়ে একটা মানসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছায়া যে ছিলই।
শুভমন ছিলেন দলের আশা। বাটলার না থাকায় আরও বড় ভূমিকার প্রত্যাশা ছিল তার কাছ থেকে। কিন্তু মাত্র তিন বলেই বিদায়। গুজরাটের ইনিংস তখনো সবে শুরু, কিন্তু গল্পটা অনেকটাই যেন শেষ হয়ে যায় সেখানেই। বোল্টের সুইং, হার্দিকের হুঙ্কার — দুয়ে মিলে যেন গিলকে পাঠিয়ে দেন ভিন্ন এক বার্তা।
ম্যাচ শেষে অবশ্য কেউ কিছু বলেনি। ক্রিকেট মাঠে অনেক কিছুই ‘কাকতালীয়’ বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। তবে যারা ক্রিকেটের ভেতরটা বোঝে, তারা জানে — চোখে যা পড়ে না, অনেক সময় সেটাই গল্প তৈরি করে।
মুম্বাইয়ের জয়, রোহিতের ৭০০০ রান, গুজরাটের বিদায়—সব মিলিয়ে ম্যাচটি ছিল নাটকে ভরা। কিন্তু নাটকের আসল টুইস্ট ছিল প্রথম ওভারে, প্রথম উইকেটের পর, সেই ঘুরে যাওয়া মুখে। ভারতীয় ক্রিকেটে কি তবে শুরু হয়ে গেল নতুন অধ্যায়? যেখানে নায়ক দুইজন—শুভমান গিল আর হার্দিক পান্ডিয়া যুদ্ধটা হয়তো এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু, সূচনা তো অনেক সময় নীরবতাই করে।