স্ট্যান্ডে বসে কার সাথে যেন কথা বলছিলেন, বেরসিক বলটা এসে যেন বিরক্ত করল। ঝাঁপ দিয়ে ডান হাত দিয়ে ক্যাচ লুফে নিলেন, ফেরত পাঠালেন মাঠে। আবার ফোনে ব্যস্ত হয়ে গেলেন। ধারাভাষ্য থেকে কে যেন বললেন, ‘দ্য বেস্ট ক্যাচ অব দ্য ম্যাচ!’
ম্যাচের সেরা ক্যাচ তো বটেই, গোটা সিরিজেরও সেরা ক্যাচ এই লাল শার্ট পরা ভদ্রলোকই নিলেন কি না, সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। জন্টি রোডস, ইজ দ্যাট ইউ?
শাদাব খান সম্ভবত গুগলি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, ফুল লেন্থ ডেলিভারিটা ছিল তানজিদ হাসান তামিমের জন্য এক উন্মুক্ত আমন্ত্রনপত্র। ঠিক যেন তামিম জুনিয়রের জন্য এক টেইলর মেইড ডেলিভারি। পুরো শরীর দিয়ে বল তিনি তুলে মারলেন লং অন দিয়ে, আকাশ ভেদ করে, গ্যালারির দিকে।
সেই বলের অপেক্ষায় কোনো ফিল্ডার ছিলেন না। বরং অপেক্ষায় ছিলেন কানে মুঠোফোন হাতে কথা বলতে থাকে এক যুবক। হাত বাড়িয়ে লুফে নিলেন। এক হাতে মোবাইল ফোন, অন্য হাতে বল! চোখে-মুখে বিন্দুমাত্র ঘাম নেই, ক্যামেরার সামনে যেন অনায়াস নায়ক তিনি। ক্রিকেট মাঠে এমন দৃশ্য রোজ রোজ দেখা যায় না!
তানজিদের শটে যেমন ছিল আগ্রাসন, গ্যালারির সেই ক্যাচে ছিল সিনেম্যাটিক সৌন্দর্য্য। এই সৌর্ন্দয্যটাই তো ক্রিকেট!