‘জয়ের লড়াই’- রংপুর রাইডার্সের স্লোগান। গ্লোবাল সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেভিওয়েট গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে বিপক্ষে লড়াই করেই ৮ রানে জয়ী হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। উইকেট কিপিং এবং অধিনায়কত্ব কিভাবে একটা দলকে জিতিয়ে দিতে পারে তাই যেন প্রমাণ করেছেন নুরুল হাসান সোহান।
আগে ব্যাটিং করে রংপুর রাইডারস সংগ্রহ করতে পারে ১৬২ রান। সৌম্য সরকার দীর্ঘ সময় উইকেটে থাকলেও টি-টোয়েন্টি সূলভ ব্যাটিং করতে পারে নি। শেষদিকে ইফতেখার আহমেদ এবং সোহানের ঝড়ো ইনিংসেই ১৬০ রানের গন্ডি পার করতে পারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
জবাবে জনসন চার্লস এবং মঈন আলীর ব্যাটে এগিয়েই ছিলো গায়ানা। এক পর্যায়ে গায়ানার প্রয়োজন ছিলো ৩৪ বলে মাত্র ৩৭ রান, হাতে ৬ উইকেট। উইকেটে হেটমায়ার, রাদারফোর্ডের মত হার্ডহিটাররা, ডাগ আউটে অপেক্ষায় প্রেটোরিয়াস, ডেভিড উইসি, গুদাকেশ মোটিরা। জয়ের পাল্লা তখন গায়ানার দিকে ভারী।
সোহান বল তুলে দেন প্রথম ওভারে ১৫ রান দেয়া খালেদ আহমেদের হাতে। খালেদও চিত্রনাট্য পরিবর্তন করে দেন। ফেরান রাদারফোর্ড, হেটমায়ার দুইজনকেই। শেষপর্যন্ত লাভ করেন ৪ উইকেট। ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ পারফর্ম্যান্স, উইকেটের পেছনে তাকে যোগ্য সঙ্গই দিয়েছেন সোহান।
৩ ক্যাচ এবং ১ স্ট্যাম্পিংয়ে গড়েছেন গ্লোবাল সুপার লিগে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড। মঈন আলী এবং রাদারফোর্ডের কঠিন ক্যাচ যেমন সহজভাবে লুফে নিয়েছেন, সেখানেই বদলে গিয়েছে ম্যাচের গতিপথ।
গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচের দুই ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ই বাংলাদেশী। শ্রীলঙ্কায় জাতীয় দলের খেলা না চললে, হয়ত এমন ভ্রম তৈরি হতেই পারতো, টি-টোয়েন্টিতে এগিয়েছে দেশের ক্রিকেট। সঠিক খেলোয়াড়, সঠিক অধিনায়ক, সঠিক মানসিকতা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, প্রমাণিত হচ্ছে বারবার।