ফাইনালে ৩২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে, টানা দ্বিতীয়বারের মত গ্লোবাল সুপার লিগ টি-টোয়েন্টি জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়েছে রংপুর রাইডার্সের। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে এসে স্বাগতিক গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স জিতে নিয়েছে নিজেদের প্রথম শিরোপা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রাখে গায়ানা। এভিন লুইস দ্রুত সাজঘরে ফিরলেও জনসন চার্লস এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ বড় পার্টনারশিপ গড়েন। ৬৯ বলের পার্টনারশিপ থেকে আসে ১২১ রান। দলীয় ১৪২ রানে জনসন চার্লস ইনজুরির কারণে উঠে যেতে বাধ্য হন, কোন বোলার এই পার্টনারশিপ ভাঙতে পারেন নি।
চার্লস করেন ৪৮ বলে ৬৭ রান, অপরদিকে গুরবাজের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৬৬ রান। শেষদিকে রোমারিও শেফার্ড ৯ বলে ২৮ রান করলে, দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ১৯৬ রান।
গায়ানার স্লো, স্পিন সহায়ক উইকেটে পাহাড়সম রান। এমন উইকেটে রংপুরের দল নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। স্লো উইকেটে রাকিবুলকে বসিয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে কেন খেলানো হলো? গায়ানায় ৪ জন পেস বোলার খেলানোর কারণ কি?
গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স এমন ভুল করে নি। তারা একাদশ সাজিয়েছে চারজন স্পিনার নিয়ে, পরিস্থিতির দাবী মিটিয়ে। চার স্পিনারের ১৫ ওভারই জিতিয়ে দিয়েছে ম্যাচ। অবশ্য রান আউটের অবদানকেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে অফ ফর্মে থাকা সৌম্য সরকার, ইনিংসের শুরুতেই রান আউটের ফাদে ফেলেছেন ইব্রাহিম জাদরানকে। তারপরে ব্যর্থতা ধরে রেখে নিজেও আউট হয়েছেন দ্রুতই।
২৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরে সাইফ হাসান এবং ইফতেখার আহমেদের ৭৩ রানের একটা জুটি গড়ে উঠেছিলো, সেটিও শেষ হয়েছে রান আউটের যাতাকলে। রংপুরের আর লড়াই করা হয় নি। মাহিদুল ইসলাম অংকনের ১৭ বলে ৩০ রানের ইনিংস কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। ফলে দ্বিতীয় আসরে এসে রানারআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নদের।