মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের সাথে হাসান নাওয়াজ। অভিজ্ঞতার সাথে তারুণ্যের মেল বন্ধন। এই দুইয়ে মিলে ওয়ানডে সিরিজের শুরুতেই ব্যাটিংয়ের ভেলায় ভর করে জিতল পাকিস্তান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটের বড় জয়। ব্যাটিং সাফল্যের বদৌলতে পাওয়া জয়। আরও নির্দিষ্ট করে বললে জয়টা নিশ্চিত করেন হাসান নাওয়াজ। মিডল অর্ডারে তাঁর স্ট্রোকের ফুলঝুরি পাকিস্তানের জয়ের রাস্তা সহজ করে দেয়।
হাসান নাওয়াজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যান পাকিস্তানের সিনিয়র ব্যাটাররা। বাবর আজম কিংবা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ছাড়াই বাংলাদেশের মাটিতে বিধ্বস্ত হয় পাকিস্তান। এবার তাঁদের ছোয়ায় বদলে গেল ওয়ানডের পাকিস্তান।
রিজওয়ান হাফ সেঞ্চুরি পেলেও তিন রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস হয় বাবর আজমের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৯ ওভারে ২৮০ রান করে অল আউট হয়। জবাবে সাত বল আর পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাকিস্তান।
অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১০৪ রান তুলেন হাসান নাওয়াজ ও হুসেইন তালাত। সেটাও মাত্র ১১ ওভার তিন বলে। রান রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যাট করেন দুই ব্যাটার। আর এখানেই জয় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের।
তারা ম্যাচকে গভীরে নিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত এক ওভার এক বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেন। বিশেষ করে অভিষেক ওয়ানডে খেলতে নামা ২৩ বছর বয়সী হাসান নওয়াজ শট বাছাইয়ে বেশ মুগ্ধ করেছেন।
শুরুতে সময় নিয়ে খেলেছেন, পরে সঠিক সময়ে বাউন্ডারি মেরে রান রেট নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। উইন্ডিজ বোলাররা মাঝে মাঝে ভালো বোলিং করলেও ধারাবাহিকতার অভাব ছিল। ক্যারিবিয়ানরা আরও ২০-৩০ রান বেশি তুলতে পারলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্নরকম হতে পারত।