হোপের ব্যাটে বাঁচল ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশা

কেউ কেউ নীরবে নিজের সবটুকু নিঙড়ে দেন, আড়াল থেকেই চালিয়ে যান নিজের কাজ। শাই হোপ যেন তেমনই এক চরিত্র। পাকিস্তানের বিপক্ষে শতক হাকিয়ে নীরবে বিপ্লবী এক ইনিংস উপহার দিলেন।

কেউ কেউ নীরবে নিজের সবটুকু নিঙড়ে দেন, আড়াল থেকেই চালিয়ে যান নিজের কাজ। শাই হোপ যেন তেমনই এক চরিত্র। পাকিস্তানের বিপক্ষে শতক হাকিয়ে নীরবে বিপ্লবী এক ইনিংস উপহার দিলেন।

দলের যখন ঘোরতর বিপদ তখনই শাই হোপ হাল ধরেন। এটাই ক্যারিবীয়দের নিত্যদিনের ঘটনা। পাকিস্তান বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সেটাই আরও একবার প্রমাণ করলেন তিনি।

পাকিস্তান টসে জিতে বেছে নেয় ফিল্ডিংটাই। রিজওয়ান এমন সিদ্ধান্ত বেশ কাজেও দিয়েছিল শুরুতে। তবে বিপত্তি বাধে শাই হোপ ক্রিজে এলে। অন্যদের ব্যর্থতার দিনে জ্বলে উঠলেন, কাপ্তানের কাপ্তানিটা দেখালেন ব্যাট হাতে।

মাত্র ৯৪ বল খেলে ১২০ রানের অপরাজিত এক নক। ১০ চার আর পাঁচ ছক্কায় সাজানো ইনিংসের প্রায় ১২৮ স্ট্রাইক রেটটাই বলে দেয় কতটা মারকুটে মেজাজে ব্যাট করেছেন তিনি।

৪১.৫ ওভার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ তখন ছয় উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান। এই পর্যন্ত পাকিস্তান দলই যে লাগাম ধরে রেখেছিল ম্যাচের। তবে হাসান-নাসিমদের দুঃস্বপ্ন হিসেবে তখনও ক্রিজে ছিলেন হোপ। বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ক্যারিবীয়দের আশা।

৫০ ওভার শেষে উইকেট সংখ্যাটা একই থাকলো তবে রান গিয়ে ঠেকলো ২৯৪-তে। মাঝের সময়টাতে গ্রেভসকে সাথে নিয়ে ৪৯ বলে ১১০ রানের খুনে মেজাজের ব্যাটিং করেছেন হোপ। ঘুরিয়ে দিয়েছেন ম্যাচের মোড়।

এই ইনিংসের সঙ্গে যুক্ত হলো আরেকটি ব্যক্তিগত মাইলফলক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি শাই হোপের ১৮তম সেঞ্চুরি। এর ফলে ক্যারিবীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক ওয়ানডে শতকের তালিকায় তিনি এখন তৃতীয় স্থানে। তাঁর ওপরে আছেন কেবল দুই কিংবদন্তি—২৫ সেঞ্চুরি করা ক্রিস গেইল ও ১৯ সেঞ্চুরির মালিক ব্রায়ান লারা।

শাই হোপ যেন নীরব মহত্ত্বের জীবন্ত উদাহরণ। ক্যারিবীয়দের বেঁচে থাকা শেষ আশার নাম। ধারাবাহিকতা আর পরিশ্রমের মিশেলে যার কাজটা কেবল দলের হয়ে সবটুকু উজাড় করে দেওয়া।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link