অধিনায়ক শাই হোপ সিরিজের ট্রফি হাতে তুলে নিলেন, চলে গেলেন চ্যাম্পিয়ন লেখা ব্যানারের দিকে। সতীর্থরা অপেক্ষায়, গ্যালারি অপেক্ষায়। আতশবাজি ফাটল, ড্যারেন স্যামি ছিলেন উদযাপনের অপেক্ষায়, সাথে যোগ হলেন বাকিরা।
দারুণ কিছু মুহূর্তে শেষ হল সিরিজ। এই কামব্যাক সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার পথে সাহায্য করবে। আর পাকিস্তানের সামনে রইল আত্মসমালোচনার কাজ।
২৯৪ রানের জবাবে মাত্র ৯২ রানে অল আউট হওয়াটা কেবল তাঁদের পক্ষেই সম্ভব। অন্যদিকে ক্যারিবিয়ানরা ভাসছে উৎসবের জোয়ারে। প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ীদের জন্য স্মরণীয় ফলাফল।
বহু বছর ধরে তাদের ক্রিকেট নিম্নমুখী, কিন্তু এরকম ফল অবশ্যই আনন্দ দেবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতল তাঁরা প্রায় ৩৪ বছর পর। শাই হোপ ও তার দল গর্ব করতেই পারে। ত্রিনিদাদের কঠিন উইকেটেও তাঁরা সবটুকু উজাড় দিয়ে খেলেছে।
২০ ওভারের পর রান রেট ছিল তিনের সামান্য ওপরে, কিন্তু হোপ সেট হয়ে ঝড় তুললেন সেঞ্চুরি করে। রোস্টন চেজ আর জাস্টিন গ্রিভস ভালো সঙ্গ দিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলল ৫০ ওভারে ২৯৪। এরপর শুরু হলো জেইডেন সিলসের শো—যা সবাইকে মুগ্ধ করল।
পাকিস্তান এই তিক্ত ফল মেনে নিতে পারবে না সহজে। ৯২ রানে অল আউট। কোনো হাফ সেঞ্চুরি নেই। পাঁচজন ব্যাটার ফিরলেন কোনো রান না করেই। ২০২ রানের বিশাল জয়।
দুই দলই খামখেয়ালী ক্রিকেট খেলার জন্য পরিচিত, তবে এবার পরিপক্কতার পরিচয় দিয়ে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধীরে শুরু করেছিল।
কিন্তু, হোপ—যার সেঞ্চুরি এখন ব্রায়ান লারা আর ক্রিস গেইলের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ, তিনি ব্যাট হাতেও নেতা হয়ে উঠলেন। আর চেজ ব্যাটে ছন্দ ফেরালেন। গ্রিভস তাতে যোগ করলেন নতুন জোশ।
এরপর সিলস শুরুতেই আগুন ঝরালেন। দু’জন ওপেনার ফিরে গেলেন আক্রমণ করতে গিয়ে। সিরিজের সেরা বলটা করলেন মোহাম্মদ রিজওয়ানকে আউট করতে গিয়ে। বাবর আজমকে এলবিডব্লিউ করলেন, ফ্লিক করতে গিয়েই বিপদ ডাকলেন বাবর। পাওয়ার প্লে-তেই খেলা কার্যত শেষ।
সালমান আলী আঘা কিছুটা লড়াই করলেন, মোহাম্মদ নওয়াজ ৪০ বল খেললেও রান তোলেননি খুব বেশি। সিলস ফিরে এসে পাকিস্তানের লেজ ছেটে দিলেন। ক্যারিয়ার সেরা ১৮ রানে ছয় উইকেট নিয়ে শেষ করলেন ম্যাচ।