শূন্য গোয়াল নাকি দুষ্ট গরু?

তাসকিনের মাঠের বাইরের জীবনটাও খুব সুখকর নয়। তাঁকে ঘিরে ব্যক্তিগত জীবনে আপত্তি তোলার মানুষের অভাব নেই। বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েও ক্যারিবিয়ানে তিনি সময় মত মাঠে না পৌঁছানোর ঘটনা ঘটিয়েছেন। 

ক্ষীপ্রতা ভুলে গেছেন তাসকিন আহমেদ। ফিটনেস টেস্টে বারবার সগৌরবের সাথে সর্বশেষ স্থান দখল করলেন। মাঠের বাইরের উশৃঙ্খল জীবন নিয়ে চলমান সমালেচানার সুর যেন লাগাতার ছুঁয়ে যাচ্ছে তাসকিনের ফিটনেসকেও।

তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ার এখন এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, যেখান থেকে সামনে এগোনোর আর কোনো পথ নেই। বরং তিনি পিছিয়ে যাবেন বারবার।

প্রথম কারণ অবশ্যই ইনজুরি। তাসকিন আহমেদর পিঠের ব্যাথা। এটা ফিরে ফিরে আসে। পুরোদমে কখনওই ঠিক হবে না। অস্ত্রোপচার করলে ব্যাথা পুরো সারবে, কিন্তু মাঠে নামতে লেগে যাবে বছর দুয়েক – মানে ক্যারিয়ার কার্যত শেষ।

তাসকিন ও বিসিবি তাই অস্ত্রোপচারের দিকে হাঁটেনি। বরং, ব্যাথা নিয়েই বাকিটা ক্যারিয়ার খেলবেন। মানে, শতভাগ ফিট তিনি কখনওই থাকবেন না। শ্রীলঙ্কা সিরিজে ফিরলেন, ছন্দেও থাকলেন কম বেশি।

কিন্তু, সবগুলো ম্যাচ খেললেন না। এই বাস্তবতা দেখা গেল পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। তাসকিন সবগুলো ম্যাচ খেলেননি।

তাসকিনে গতিও আগের চেয়ে কমেছে। ফিটনেস নেই বললেই চলে। অনুশীলনে এখন আর তাঁর শরীর চলে না। ফিটনেস টেস্টগুলোতে শেষের দিক থেকে প্রথম হচ্ছে। এই অবস্থায় তাসকিনের শেষ দেখে ফেলা লোকের অভাব নেই।

তাসকিনের মাঠের বাইরের জীবনটাও খুব সুখকর নয়। তাঁকে ঘিরে ব্যক্তিগত জীবনে আপত্তি তোলার মানুষের অভাব নেই। বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েও ক্যারিবিয়ানে তিনি সময় মত মাঠে না পৌঁছানোর ঘটনা ঘটিয়েছেন।

মাঠের বাইরের নানা সমালোচনায় একটা জোড়া-তালি দিতে পারলেও ফিটনেস ইস্যুতে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন তিনি। কোনো একটা দিকে ছাড় দিয়ে না হয় এগোনো যায়, কিন্তু তাসকিনের ক্ষেত্রে অনেকদিকেই ছাড় দিতে হচ্ছে বিসিবিকে।

এই ছাড় সংস্থাটি ততদিন দেবে, যতদিন তাসকিন পারফরম করছেন কিংবা তাঁর থেকে নিয়মিত সার্ভিস আসছে। কিন্তু সার্ভিস না আসার অর্থই হচ্ছে – দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল।

Share via
Copy link