ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে ছারখার আফ্রিকা!

গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হাতেই শেষ হলো রুদ্ধশ্বাস লড়াই, জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্রিজে এলেন, একাহাতে ম্যাচ জেতালেন, মাঠ ছাড়লেন নায়কের বেশে— একেবারেই টিপিক্যাল ম্যাক্সওয়েল শো দেখল ক্রিকেট বিশ্ব।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হাতেই শেষ হলো রুদ্ধশ্বাস লড়াই, জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্রিজে এলেন, একাহাতে ম্যাচ জেতালেন, মাঠ ছাড়লেন নায়কের বেশে— একেবারেই টিপিক্যাল ম্যাক্সওয়েল শো দেখল ক্রিকেট বিশ্ব।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস ভাগ্য গেল স্বাগতিকদের দিকেই। অজি কাপ্তান সিদ্ধান্ত নিলেন ফিল্ডিং করার। আর প্রথম ওভারেই সাফল্য পেলেন হ্যাজেলউড। দলীয় দুই রানের মাথায় ফিরে গেলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।

রায়ান রিকেলটন ব্যর্থ হয়েছেন, লুহান প্রেটোরিয়াসও সম্ভাবনা দেখিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি। অগত্যা সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ফর্মের চূড়ায় থাকা প্রোটিয়া সেনশেসন যেন নিজেকে প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছেন।

মাত্র ২৬ বলে ৫৩ রানের ব্রেভিসসুলভ ব্যাটিং, অজি বোলার রীতিমত তুলোধোনা করে ছেড়েছেন তিনি। তাঁর সাথে ট্রিস্টান স্টাবসের ২৫ আর ভ্যান ডার ডুসেনের ৩৮ রানে ভর করে ১৭২ রানের লড়াকু পুঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মিচেল মার্শ আর ট্রাভিস হেড মিলে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। হেড ১৯ রানে থামলেও ফিফটি আদায় করে নেন মিচেল মার্শ। তবে এরপরেই ঘটে ছন্দপতন। ৬৬ রানের মাথায় হেড ফিরে গেলে পরের ২২ রান করতেই আরও তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ম্যাচে ফেরে আফ্রিকা।

আর তখনই ক্রিজে আসেন ম্যাক্সওয়েল, আগের দুই ম্যাচে রান পাননি। তবে তাতে কি, দলের প্রয়োজন যখন তখনই তো জ্বলে ওঠে তাঁর ব্যাট। এদিনও যেন তাই হলো।

শুরুটা দেখেশুনে করলেন, সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিলে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকলেন ভরসা হয়ে। দুই বলে চার রানের সমীকরণ মেলালেন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। ৩৬ বল খেলে ১৭২ স্ট্রাইক রেটে বনে গেলেন ম্যাচ জয়ের নায়ক।

দক্ষিণ আফ্রিকা আপ্রাণ চেষ্টা করেছে ঠিকই। তবে ম্যাক্সওয়েল যেদিন খেলেন, সেদিন কার সাধ্য আছে জয়ের মুকুট মাথায় পরার। তাই তো এক বল হাতে রেখে দুই উইকেটের লড়াকু জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো অস্ট্রেলিয়া। আর আফ্রিকার দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকলো ম্যাক্সওয়েল শো!

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link